পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२b” রবীন্দ্র-রচনাবলী রাঙা হল বসন ভূষণ, রাঙা হল শয়ন স্বপন, (F হ’ল কেমন দেখ, রে, যেমন রাঙা কমল টলমল । ঠাকুরদা। বেশ ভাই বেশ–খুব খেলা জমেছিল ? বাউল । খুব খুব । সব লালে লাল। কেবল আকাশের চাদটাই ফাকি দিয়েছে—সাদাই রয়ে গেল । ঠাকুরদা। বাইরে থেকে দেখাচ্ছে যেন বড়ো ভালোমানুষ। ওর সাদা চাদরটা খুলে দেখতিস যদি তাহলে ওর বিদ্যে ধরা পড়ত। চুপি চুপি ও যে আজ কত রং ছড়িয়েছে এখানে দাড়িয়ে সব দেখেছি । অথচ ও নিজে কি এমনি সাদাই থেকে যাবে ? গান আহা, তোমার সঙ্গে প্রাণের পেল। প্রিয় আমার ওগো প্রিয় । বড়ে উতলা আজ পরান আমার খেলাতে হার মানবে কি ও ? কেবল তুমিই কি গো এমনি ভাবে রঙিয়ে মোরে পালিয়ে যাবে ? তুমি সাধ করে নাথ ধরা দিয়ে আমারে রং বক্ষে নিয়ো-— এই হৃংকমলের রাঙা রেণু রাঙাবে ঐ উত্তরীয় । [ প্রস্থান স্ত্রীলোকদের প্রবেশ প্রথমা। ওমা, ওমা, যেখানে দেখে গিয়েছিলুম সেইপানেই দাড়িয়ে আছে গো । দ্বিতীয়া । আমাদের বসন্তপূর্ণিমার চাদ, এত রাত হল তবু একটুও পশ্চিমের দিকে হেলল না । প্রথমা । আমাদের আচঞ্চল চাদটি কার জন্যে পথ চেয়ে আছে ভাই ? ঠাকুরদ। যে তাকে পথে বের করবে তারই জন্তে । তৃতীয়া। ঘর ছেড়ে এবার পথের মানুষ খুজবে বুঝি ? ঠাকুরদা । ই ভাই, সর্বনাশের জন্যে মন-কেমন করছে।