পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ রবীন্দ্র-রচনাবলী কেন ? তুমি আমাকে মার না কেন ? মারো, মারো, আমাকে মারো । তুমি আমাকে কিছু বলছ না সেইজন্যেই আরও অসহ বোধ হচ্ছে। রাজা । কিছু বলছি নে কে তোমাকে বললে ? সুদৰ্শন । অমন করে নয়, অমন করে নয়, চীংকার করে বলো, বজ্রগর্জনে বলো— আমার কান থেকে অন্য সকল কথা ডুবিয়ে দিয়ে বলো—আমাকে এত সহজে ছেড়ে দিয়ে না, যেতে দিয়ে না । রাজা । ছেড়ে দেব কিন্তু যেতে দেব কেন ? সুদৰ্শনা । যেতে দেবে না ? আমি যাবই। রাজা । আচ্ছ। যাও । সুদৰ্শন । দেখো তাহলে আমার দোষ নেই। তুমি আমাকে জোর করে ধরে রাখতে পারতে কিন্তু রাখলে না। আমাকে বধিলে ন-আমি চললুম। তোমার প্রহরীদের হুকুম দাও আমাকে ঠেকাক । রাজা । কেউ ঠেকাবে না। ঝড়ের মুখে ছিন্ন মেঘ যেমন অবাধে চলে তেমনি তুমি অবাধে চলে যাও । সুদৰ্শন । ক্রমেই বেগ বেড়ে উঠছে—এবার নোঙর ছিাড়ল । হয়তো ভুলব কিন্তু আর ফিরব না । { দ্রুত প্রস্থান সুরঙ্গমার প্রবেশ ও গান ভয়েরে মোর আঘাত করে! ভীষণ, হে ভীষণ ! কঠিন করে চরণ পরে প্রণত করো মন | বেঁধেছ মোরে নিত্যকাজে প্রাচারে ঘেরা ঘরের মাঝে নিত্য মোরে বেঁধেছে সাজে সাজের আভরণ । এস হে, ওহে আকস্মিক ঘিরিয়া ফেলো সকল দিক মুক্ত পথে উড়ায়ে নিক নিমেষে এ জীবন ।