পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩8 রবীন্দ্র-রচনাবলী ধন্য হলি ওরে পাস্থ, রজনী-জাগরক্লাস্ত, ধন্য হল মরি মরি ধুলায় ধূসর প্রাণ । বনের কোলের কাছে সমীরণ জাগিয়াছে । মধুভিক্ষু সারে সারে আগত কুঞ্জের দ্বারে । হল তব যাত্রা সারা, মোছো মোছো আশ্রধারা, 昂 লজ্জাভয় গেল ঝরি ঘুচিল রে অভিমান । ঠাকুরদার প্রবেশ 21ফুরদা । ভোর হল, দিদি, ভোর হল । সুদৰ্শন । তোমাদের আশীর্বাদে পৌছেছি, ঠাকুরদা, পৌছেছি । ঠাকুরদা। কিন্তু আমাদের রাজার রকম দেপেছ ? রপ নেই, বাগ নেই, সমারোহ নেই। সুদৰ্শনা । বল কী, সমারোহ নেই ? ওই যে আকাশ একেবারে রাঙা, ফুলগন্ধের অভ্যর্থনায় বাতাস একেবারে পরিপূর্ণ। ঠাকুরদা। তা হ’ক, আমাদের রাজা যত নিষ্ঠর ত’ক আমরা তো তেমন কঠিন হতে পারি নে—আমাদের যে ব্যথা লাগে । এই দানবেশে তুমি রাজভবনে যাচ্ছ এ কি আমরা সহ করতে পারি ? একটু দাড়াও, আমি ছুটে গিয়ে তোমার রানীর লেশট। নিয়ে আসি । সুদৰ্শন । না না না । সে রানীর বেশ তিনি আমাকে চিরদিমের মতো ছাড়িয়েছেন—সবার সামনে আমাকে দাসার বেশ পরিয়েছেন—বেঁচেছি বেঁচেছি—আমি আজ র্তার দাসী—যে-কেউ তার আছে আমি আজ সকলের নিচে । ঠাকুরদা। শত্রুপক্ষ তোমার এ দশা দেগে পরিহাস করবে সেইটে আমাদের অসহ্য হয় । সুদৰ্শন। শত্রুপক্ষের পরিহাস অক্ষয় হ’ক—তারা আমার গায়ে ধুলে দিক। আজকের দিনের অভিসারে সেই ধুলোই যে আমার অঙ্গরাগ ।