পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা , ২৬৫ ঠাকুরদা। এর উপরে আর কথা নেই। এখন আমাদের বসন্ত-উংসবের শেষ পেলাটাই চলুক—ফুলের রেণু এখন থাক, দক্ষিনে হাওয়ায় এবার ধুলো উড়িয়ে দিক । সকলে মিলে আজ ধূসর হয়ে প্রভুর কাছে যাব । গিয়ে দেখব তার গায়েও ধুলো মাথ । তাকে বুঝি কেউ ছাড়ে মনে করছ? যে পায় তার গায়ে মুঠো মুঠো ধুলো দেয় যে— সে-ধুলো সে ঝেড়েও ফেলে না । কাঞ্চী । ঠাকুরদা, তোমাদের এই ধুলোর পেলায় আমাকেও ভূলো না । আমার এই রাজবেশটাকে এমনি মার্টি করে নিয়ে যেতে হবে যাতে একে আর চেনা না যায়। ঠাকুরদা। সে আর দেরি হবে না ভাই । যেখানে নেবে এসেছ এখানে যত তোমার মিথ্যে মান সব ঘুচে গেছে—এপন দেপতে দেপতে রং ফিরে যাবে।—আর এই আমাদের রানীকে দেপো--ও নিজের উপর ভারি রাগ করেছিল—মনে করেছিল গয়না ফেলে দিয়ে নিজের ভুবনমোহন রূপকে লাঞ্ছন দেবে—কিন্তু সে-রূপ অপমানের আঘাতে আরও ফুটে পড়েছে—সে যেন কোথাও আর কিছু ঢাকা নেই। আমাদের রাজ্যটির নিজের নাকি রূপের সম্পর্ক নেই তাই তো এই বিচিত্র রূপ সে এত ভালোবাসে, এই রূপই তো তার বক্ষের অলংকার । সেই রূপ আপনার গর্বের আবরণ ঘুচিয়ে দিয়েছে—আজ আমার রাজার ঘরে কী সুরে যে এতক্ষণে বাণ বেজে উঠেছে তাই শোনবার জন্যে প্রাণট' ছটফট করছে । সুরঙ্গম। । ওই যে স্বয উঠল । ২০ অন্ধকার ঘর সুরঙ্গম। । প্রভু, যে আদর কেড়ে নিয়েছ সে-আদর আর ফিরিয়ে দিয়ে না ; আমি তোমার চরণের দাসী, আমাকে সবার অধিকার দাও । রাজা । আমাকে সইতে পারবে ? সুদৰ্শন । পারব রাজা পারব । আমার প্রমোদবনে আমার রানীর ঘরে তোমাকে দেপতে চেয়েছিলুম বলেই তোমাকে এমন বিরূপ দেখেছিলুম—সেখানে তোমার দাসের অধম দাসকেও তোমার চেয়ে চোথে সুন্দর ঠেকে । তোমাকে তেমন করে দেখবার তৃষ্ণ আমার একেবারে ঘুচে গেছে—তুমি সুন্দর নও প্রভু সুন্দর নও, তুমি অনুপম । N98-سا- ہلا