পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা ·Le දෘ 속 ঘটকালি অমিত যোগমায়ার কাছে এসে বললে, “মাসিম, ঘটকালি করতে এলেম । বিদায়ের বেলা কৃপণতা করবেন না ।” “পছন্দ হলে তবে তো । আগে নাম-ধাম-বিবরণটা বলো ।” অমিত বললে, “নাম নিয়ে পাত্রটির দাম নয়।” “তাহলে ঘটক-বিদায়ের হিসাব থেকে কিছু বাদ পড়বে দেখছি।” “অন্যায় কথা বললেন । নাম যার বড়ে তার সংসারটা ঘরে অল্প, বাইরেই বেশি। ঘরের মন-রক্ষার চেয়ে বাইরে মান-রক্ষাতেই তার যত সময় যায়। মানুষটার অতি অল্প অংশই পড়ে স্ত্রীর ভাগে, পুরো বিবাহের পক্ষে সেটুকু যথেষ্ট নয়। নামজাদ মাহুষের বিবাহ স্বল্পবিবাহ, বহুবিবাহের মতোই গৰ্হিত ।” “আচ্ছা, নামটা না হয় থাটো হল, রূপটা ?” “বলতে ইচ্ছে করি নে, পাছে অত্ব্যক্তি করে বসি ।" “অতুক্তির জোরেই বুঝি বাজারে চালাতে হবে ?” “পাত্র বাছাইয়ের বেলায় দুটি জিনিস লক্ষ্য করা চাই,– নামের দ্বারা বর যেন ঘরকে ছাড়িয়ে না যায়, আর রূপের দ্বারা কনেকে {” “আচ্ছা নামরূপ থাক, বাকিটা ?” “বাকি যেটা রইল সব-জড়িয়ে সেটাকে বলে পদার্থ। তা লোকটা অপদার্থ নয়।” “বুদ্ধি y” “লোকে যাতে ওকে বুদ্ধিমান বলে হঠাৎ ভ্রম করে সেটুকু বুদ্ধি ওর আছে।" “বিদ্যে ?” “স্বয়ং নিউটনের মতো। ও জানে যে জ্ঞানসমুদ্রের কুলে সে গুড়ি কুড়িয়েছে মাত্র। তার মতে সাহস করে বলতে পারে না, পাছে লোকে ফস করে বিশ্বাস করে বসে।” “পাত্রের যোগ্যতার ফর্দটা তো দেখছি কিছু পাটো গোছের।” “অন্নপূণার পূর্ণতা প্রকাশ করতে হবে বলেই শিব নিজেকে ভিখারি কবুল করেন, একটুও লজ্জা নেই।” “তাহলে পরিচয়ট আরও একটু স্পষ্ট করে।” “জানা ঘর। পাত্রটির নাম অমিতকুমার রায় । হাসছেন কেন, মাসিম ? ভাবছেন কথাটা ঠাট্ট "