পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী “দেবীকে আর মাসিমাকে একাধারেই পাওয়া যেতে পারে, অমিত ; অভাব ঢাকবার দরকার হয় না ।” “এর জবাব কবির ভাষায় দিতে হয়। গছে যা বলি সেটা স্পষ্ট বোঝাবার জন্তে ছন্দের ভান্য দরকার হয়ে পড়ে। ম্যাথু আর্নল্ড কাবাকে বলেছেন ক্রিটিসিজম অফ লাইফ, আমি কথাটাকে সংশোধন করে বলতে চাই লাইফস কমেণ্টারি ইন ভার্স। অতিথিবিশেষকে আগে থাকতে জানিয়ে রাখি যেটা পড়তে যাচ্ছি সে-লেখাটা কোনো কবিসম্রাটের নয়— পূৰ্ণপ্রাণে চাবার যাহা রিক্ত হাতে চাস নে তারে, সিক্ত চোপে যাস নে দ্বারে । ভেবে দেখবেন, ভালোবাসাই হচ্ছে পূর্ণতা, তার যা আকাজ সে তো দরিদ্রের কাঙালপনা নয়। দেবতা যপন তার ভক্তকে ভালোবাসেন তখনই আসেন ভক্তের দ্বারে ভিক্ষণ চাইতে । রত্নমালা আনবি যবে মাল্য-বদল তপন হবে, পাতবি কি তোর দেবীর আসন শূন্ত ধুলায় পথের ধারে ? সেইজন্যেই তো সম্প্রতি দেবীকে একটু হিসেব করে ঘরে ঢুকতে বলেছিলুম। পাতবার কিছুই নেই তো পাতব কী । এই ভিজে খবরের কাগজ গুলো ? আজকাল সম্পাদকী কালির দাগকে সব-চেয়ে ভয় করি । কবি বলছেন, ডাকবার মান্তসকে ডাকি, যখন জীবনের পেয়াল উছলে পড়ে, তাকে তৃষ্ণার শরিক হতে ডাকি নে । পুষ্প-উদার চৈত্রবনে বক্ষে ধরিস নিত্য-ধনে, লক্ষ শিপায় জলবে যখন দীপ্ত প্রদীপ অন্ধকারে । মাসিদের কোলে জীবনের আরম্ভেই মানুষের প্রথম তপস্যা দারিদ্র্যের, নগ্ন সন্ন্যাসীর স্নেহসাধনা। এই কুটিরে তারই কঠোর আয়োজন। আমি তো ঠিক করে রেখেছি এই কুটিরের নাম দেব মাসতুত বাংলো।” “বাবা, জীবনের দ্বিতীয় তপস্ত ঐশ্বর্ষের, দেবীকে বঁ। পাশে নিয়ে প্রেমসাধন ।