পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ab" রবীন্দ্র-রচনাবলী সেইখানটাই হয়েছে সব-চেয়ে সুন্দর। এই যে আমি ক্রমাগতই কথা কয়ে ষাচ্ছি এ হচ্ছে ওই পরিপূর্ণ প্রাণসরোবরের তরঙ্গধ্বনি, একে থামায় কে ।” “মিতা, তুমি আজ সমস্ত দিন কী করছিলে ?” “মনের মাঝখানটাতে তুমি ছিলে, একেবারে নিস্তব্ধ। তোমাকে কিছু বলতে' চাচ্ছিলুম,—কোথায় সেই কথা। আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ছে আর আমি কেবলই বলেছি, কথা দাও, কথা দাও ! O what is this 2 Mysterious and uncapturable bliss That I have known, yet seems to be Simple as breath and easy as a smile, And older than the earth. এ কী রহস্য, এ কী আনন্দরাশি ! জেনেছি তাহারে, পাই নি তবুও পেয়ে । তবু সে সহজে প্রাণে উঠে নিঃশ্বাসি’, তবু সে সরল যেন রে সরল হাসি, পুরানো সে যেন এই ধরণীর চেয়ে । বসে বসে ওই করি । পরের কথাকে নিজের কথা করে তুলি । সুর দিতে পারভূম যদি তবে মুর লাগিয়ে বিদ্যাপতির বর্ষার গানটাকে সম্পূর্ণ আত্মসাং করতুম— বিদ্যাপতি কহে, কৈসে গোঙায়বি হরি বিনে দিন রাতিয়া । যাকে না হলে চলে না, তাকে না পেয়ে কী করে দিনের পর দিন কাটবে, ঠিক এই কথাটার সুর পাই কোথায় । উপরে চেয়ে কপনে বলি, কথা দাও, কপনো বলি সুর দাও । কথা নিয়ে সুর নিয়ে দেবতা নেমেও আসেন, কিন্তু পণের মধ্যে মানুষ-ভুল করেন, পামক আর-কাউকে দিয়ে বসেন, —হয়তো বা তোমাদের ওই রবি ঠাকুরকে ।” লাবণ্য হেসে বললে, “রবি ঠাকুরকে যারা ভালোবাসে তারাও তোমার মতো এত বার বার করে তাকে স্মরণ করে না ।” “বন্যা, আজ আমি বড়ো বেশি বকছি, না ? আমার মধ্যে বকুনির মনসুন নেমেছে। ওয়েদার রিপোর্ট যদি রাখ তো দেখবে এক-একদিনে কত ইঞ্চি পাগলামি তার ঠিকানা নেই। কলকাতায় যদি থাকতুম তোমাকে নিয়ে টায়ার ফাটাতে ফাটাতে মোটরে