পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা రిని করে একেবারে মোরাদাবাদে দিতুম দৌড়। যদি জিজ্ঞাসা করতে মোরাদাবাদে কেন, তার কোনোই কারণ দেখাতে পারতুম না। বান যখন আসে তখন সে বকে, ছোটে, সময়টাকে হাসতে হাসতে কেনার মতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।” এমন সময় ডালিতে ভরে যোগমায়া স্বৰ্ধমুখী ফুল আনলেন। বললেন, “ম লাবণ্য, এই ফুল দিয়ে আজ তুমি ওকে প্রণাম করে।” এটা আর কিছু নয়, একটা অঙ্গুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রাণের ভিতরকার জিনিসকে বাইরে শরীর দেবার মেয়েলি চেষ্টা । দেহকে বানিয়ে তোলবার আকাঙ্ক্ষ ওদের রক্তে মাংসে । আজ কোনো এক সময়ে অমিত লাবণ্যকে কানে কানে বললে, “বন্ত, একটি আংটি তোমাকে পরাতে চাই ।” লাবণ্য বললে, “কী দরকার, মিতা ।” “তুমি যে আমাকে তোমার এই হাতপানি দিয়েছ সে কতখানি দেওয়া তা ভেবে শেষ করতে পারি নে। কবির প্রিয়ার মুখ নিয়েই যত কথা কয়েছে। কিন্তু হাতের মধ্যে প্রাণের কত ইশারা ; ভালোবাসার যতকিছু অাদর, যতকিছু সেবা, হৃদয়ের যত দরদ যত অনির্বচনীয় ভাষা, সব যে ওই হাতে। আংটি তোমার আঙুলটিকে জড়িয়ে থাকবে আমার মুপের ছোটো একটি কথার মতো ; সে-কথাটি শুধু এই, পেয়েছি । আমার এই কথাটি সোনার ভাষায় মানিকের ভাষায় তোমার হাতে থেকে যাক না।” লাবণ্য বললে, “আচ্ছা, তাই থাক ।” “কলকাতা থেকে আনতে দেব, বলে কোন পাথর তুমি ভালোবাস ।” “আমি কোনো পাথর চাই নে, একটিমাত্র মুক্তে থাকলেই হবে।” “আচ্ছ, সেই ভালো । আমিও মুক্তে ভালোবাসি।” SS মিলন-তত্ত্ব ঠিক হয়ে গেল আগামী অজ্ঞান মাসে এদের বিয়ে। যোগমায়া কলকাতায় গিয়ে সমস্ত আয়োজন করবেন । লাবণ্য অমিতকে বললে, “তোমার কলকাতায় ফেরবার দিন অনেককাল হল পেরিয়ে গেছে। অনিশ্চিতের মধ্যে বাধা পড়ে তোমার দিন কেটে যাচ্ছিল। এখন ছুটি। নিঃসংশয়ে চলে যাও। বিয়ের আগে আমাদের আর দেখা হবে না।” A 8-~~ ہ لا