পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

මේවාද রবীন্দ্র-রচনাবলী “দীপক ।” “ঠিক নামটি হয়েছে। নামের উপযুক্ত একটি দীপ আমার বাড়ির চুড়োয় বসিয়ে দেব, মিলনে সন্ধোবেলায় তাতে জলবে লাল আলো, আর বিচ্ছেদের রাতে নীল। কলকাতা থেকে ফিরে এসে রোজ তোমার কাছ থেকে একটি চিঠি আশা করব । এমন হওয়া চাই সে-চিঠি পেতেও পারি, না-পেতেও পারি। সন্ধ্যে আটটার মধ্যে যদি না পাই তবে হতবিধিকে অভিসম্পাত দিয়ে বাট্রণও রাসেলের লজিক পড়বার চেষ্টা করব । আমাদের নিয়ম হচ্ছে অনাহূত তোমার বাড়িতে কোনোমতেই যেতে পারব না।” “আর তোমার বাড়িতে আমি ?” “ঠিক এক নিয়ম হলেই ভালো হয়, কিন্তু মাঝে মাঝে নিয়মের ব্যতিক্রম হলে সেট অসহ হবে না ।” “নিয়মের ব্যতিক্রমটাই যদি নিয়ম না হয়ে ওঠে তাহলে তোমার বাড়িটার দশ কী হবে ভেবে দেখে বরঞ্চ আমি বুরকা পরে যাব।” “ত হ’ক, কিন্তু আমার নিমন্ত্রণ-চিঠি চাই । সে-চিঠিতে আর কিছু পাকবার দরকার নেই, কেবল কোনো-একটা কবিতা থেকে দুটি-চারটি লাইন মাত্র।” “আর আমার নিমন্ত্রণ বুঝি বন্ধ ? আমি একঘরে ?” “তোমার নিমন্ত্রণ মাসে একদিন, পূর্ণিমার রাতে ; চোদট। তিথির পণ্ডত যেদিন চরম পূর্ণ হয়ে উঠবে।” “এইবার তোমার প্রিয়শিয়াকে একটি চিঠির নমুনা দাও।” “আচ্ছা, বেশ ।” পকেট থেকে একটা নোটবই বের করে তার পাতা ছিড়ে লিখলে— f “Blow gently over my garden wind of the southern $88, In the hour my love cometh And calleth me. চুমিয়া যেয়ো তুমি আমার বনভূমি দখিন সাগরের সমীরণ, যে-শুভধনে মম। আসিবে প্রিয়তম, * ডাকিবে নাম ধরে অকারণ।”