পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা " ·ළු8\ව් আমার আহুতি দিনশেষে করিলাম সমর্পণ তোমার উদ্দেশে । লছ এ প্রণাম জীবনের পূর্ণ পরিণাম । - ** এ প্ৰণতি পরে ম্পর্শ রাখে। স্নেহ-ভরে, তোমার ঐশ্বর্ধমাঝে সিংহাসন যেখায় বিরাজে, করিয়ো আহ্বান, সেথা এ প্রণতি মোর পায় যেন স্থান । Ye আশঙ্কা সকালবেলায় কাজে মন দেওয়া আজ লাবণ্যর পক্ষে কঠিন । সে বেড়াতেও যায় নি। অমিত বলেছিল শিলঙ থেকে যাবার আগে আজ সকালবেলায় সে ওদের সঙ্গে দেখা করতে চায় না । সেই পণটাকে রক্ষা করবার ভার দুজনেরই উপর। কেননা, যে-রাস্তায় ও বেড়াতে যায় সেই রাস্ত দিয়েই অমিতকে যেতে হবে । মনে তাই লোভ ছিল যথেষ্ট। সেটাকে কষে দমন করতে হল। যোগমায়া খুব সকালেই স্নান সেরে র্তার আহিকের জন্তে কিছু ফুল তোলেন । তিনি বেরোবার আগেই লাবণ্য সে-জায়গাটা থেকে চলে এল যুক্যালিপটাস-তলায় । হাতে দুই-একটা বই ছিল, বোধ হয় নিজেকে এবং অন্তদেরকে ভোলাবার জন্তে । তার পাতা খোলা, কিন্তু বেলা যায়, পাতা ওলটানো হয় না । মনের মধ্যে কেবলই বলছে, জীবনের মহোৎসবের দিন কাল শেষ হয়ে গেল। আজ সকালে এক-একবার মেম্বরেীত্রের মধ্যে দিয়ে ভাঙনের দূত আকাশ বেটয়ে বেড়াচ্ছে। মনে দৃঢ়বিশ্বাস যে, অমিত চিরপলাতক, একবার সে সরে গেলে আর তার ঠিকানা পাওয়া যায় না। রাস্তায় চলতে চলতে কখন সে গল্প শুরু করে, তার পর রাজি আসে, পরদিন সকালে দেখা যায় গল্পের গাখন ছিন্ন, পথিক গেছে চলে। লাবণ্য তাই ভাবছিল ওর গল্পট এখন থেকে চিরদিনের মতে রইল বাকি। আজ সেই অসমাপ্তির মানতা সকালের আলোয়, অকাল-অবসানের অবসাদ আর্দ্র হাওয়ার মধ্যে ।