পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা లN9 একমুহূর্তের মধ্যেই কেটির চোখে পড়ল লাবণ্যর হাতে আংটি। মাথায় রক্ত চন করে উঠল, লাল হয়ে উঠল দুই চোখ, পৃথিবীটাকে লাৰি মারতে ইচ্ছে কয়ল। অমিত বললে, “মালি, এই আমার বোন শমিতা, বাবা বোধ হয় আমার নামের जरत्र इन मिनिरब्र ब्रांभ cब्रटषझिरणन, किरू ब्रटब्र ८अल अभिजांचकब्र । ऐनि cकठकी, আমার বোনের বন্ধু।” ইতিমধ্যে আর-এক উপত্রব। মুরমার এক পোষা বিড়াল ঘর থেকে বেরিয়ে আসাতেই ট্যাবির কুকুরীয় নীতিতে সে এই স্পর্ধাটাকে যুদ্ধঘোষণার বৈধ কারণ বলেই গণ্য করলে। একবার অগ্রসর হয়ে তাকে ভংগনা করে, আবার বিড়ালের উষ্ঠত নখর ও ফোসফোসানিতে যুদ্ধের আগুফল সম্বন্ধে সংশয়াপন্ন হয়ে ফিরে আসে। এমন অবস্থায় কিঞ্চিং দূর হতেই অহিংস্র গঞ্জননীতিই নিরাপদ বীরত্ব প্রকাশের উপায় মনে করে অপরিমিত চীৎকার গুরু করে দিলে। বিড়ালটা তার কোনো প্রতিবাদ না করে পিঠ ফুলিয়ে চলে গেল। এইবার কেটি সহ করতে পারলে না । প্রবল আক্রোশে কুকুরটাকে কান-মলা দিতে লাগল। এই কান-মলার অনেকটা অংশই নিজের ভাগ্যের উদ্দেশে । কুকুরটা কেই কেই স্বরে অসঙ্গব্যবহার সম্বন্ধে তীব্র অভিমত জানালে । ভাগ্য নিঃশব্দে হাসল । এই গোলমালটা একটু থামলে পর অমিত সিসিকে লক্ষ্য করে বললে, “সিসি, এরই নাম লাবণ্য । আমার কাছ থেকে এর নাম কখনো শোন নি, কিন্তু বোধ হচ্ছে, আর-দশজনের কাছ থেকে শুনেছ। এর সঙ্গে আমার বিবাহ স্থির হয়ে গেছে, কলকাতায় অজ্ঞান মাসে ।” কেটি মুখে হাসি টেনে আনতে দেরি করলে না । বললে, “আই কনগ্র্যাচুলেট । কমলালেবুর মধু পেতে বিশেষ বাধা হয় নি বলেই ঠেকছে, রাস্ত কঠিন নয়, মধু লাফ দিয়ে আপনিই এগিয়ে এসেছে মুখের কাছে।” সিসি তার স্বাভাবিক অভ্যাসমতো হী হী করে হেসে উঠল। লাবণ্য বুঝলে কথাটায় খোচা আছে, কিন্তু মানেট সম্পূর্ণ বুঝলে না । অমিত তাকে বললে, “আজ বেরোবার সময় এরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কোথায় ঘাচ্ছ ? আমি বলেছিলুম বঙ্গ মধুর সন্ধানে। তাই এর হাসছে। ওটা আমারই দোষ —আমার কোন কথাটা ষে হাসির নয় লোকে সেটা ঠাওরাতে পারে না ।” * 禺 কেটি শান্তস্বরেই বললে, “কমলালেবুর মধু নিয়ে তোমার তো জিত হল, এবার আমারও যাতে হার না হয়, সেটা করে ।” Y e-8 &