পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা vరిNలు পারে যে, সেই কারণেই ওর মনে কিছুমাত্র ক্ষোভ নেই যে, অমিত ওর সঙ্গে অপরাহ্লে সাহিত্যালোচনা এবং সায়াছে মোটরে করে বেড়ানো বন্ধ করেছে। অমিতকে ও সর্বাক্তকরণে ক্ষমা করেছে। & অমিত বললে, “অক্সিজেন একভাবে বয় হাওয়ায় অদৃশু থেকে, সে না হলে প্রাণ বঁাচে না । আবার অক্সিজেন আর-একভাবে কয়লার সঙ্গে যোগে জলতে থাকে, সেই আগুন জীবনের নানা কাজে দরকার,—দুটোর কোনোটাকেই বাদ দেওয়া চলে না । এখন বুঝতে পেরেছ ?” “সম্পূর্ণ না, তবে কিনা বোঝবার ইচ্ছে আছে।” “ষে-ভালোবাসা ব্যাপ্তভাবে আকাশে মুক্ত থাকে অস্তরের মধ্যে সে দেয় সঙ্গ ; ষেভালোবাসা বিশেষভাবে প্রতিদিনের সব-কিছুতে যুক্ত হয়ে থাকে সংসারে সে দেয় আসঙ্গ । দুটোই আমি চাই ।” “তোমার কথা ঠিক বুঝছি, কি না, সেইটেই বুঝতে পারি নে। আর একটু স্পষ্ট করে বলে, অমিতাল ।” অমিত বললে, “একদিন আমার সমস্ত ডান মেলে পেয়েছিলুম আমার ওড়ার আকাশ,—আজ আমি পেয়েছি আমার ছোট্টো বাসা, ডানা গুটিয়ে বসেছি । কিন্তু আমার আকাশও রইল।” “কিন্তু বিবাহে তোমার ওই সঙ্গ-আসঙ্গ কি একত্রেই মিলতে পারে না ?” *জীবনে অনেক সুযোগ ঘটতে পারে কিন্তু ঘটে না । ষে-মানুষ অর্ধেক রাজত্ব আর রাজকন্তু একসঙ্গেই মিলিয়ে পায় তার ভাগ্য ভালো,—ষে তা না পায় দৈবক্রমে তার যদি ডান দিক থেকে মেলে রাজত্ব আর বা দিক থেকে মেলে রাজকন্যা, সে-ও বড়ো কম সৌভাগ্য নয়।” "किखु–” “কিন্তু তুমি যাকে মনে কর রোম্যান্স সেইটেতে কমতি পড়ে ! একটুও না । গল্পের বই থেকেই রোম্যান্সের বাধা বরাদ্ধ ছাচে ঢালাই করে জোগাতে হবে না কি ? কিছুতেই না । আমার রোম্যান্স আমিই কৃষ্টি করব। আমার স্বর্গেও রয়ে গেল রোম্যান্স, আমার মর্ত্যেও ঘটাব রোম্যান্স। যারা ওর একটাকে বাচাতে গিয়ে আরএকটাকে দেউলে করে দেয় তাদেরই ভূমি বল রোমাটিক ! তারা হয় মাছের মতো জলে সাতার দেয়, নয় বেড়ালের মতো ভাঙায় বেড়ায়, নয় বাছুড়ের মতো আকাশে ফেরে। আমি রোম্যান্সের পরমহংস। ভালোবাসার সত্যকে আমি একই শক্তিতে জলে স্থলে উপলব্ধি করব, আবার আকাশেও। নদীর চরে রইল আমার পাকা দখল, আবার ۹ 8 س-- • لا