রাজা প্রজা ర్ఫిSలి বর্গেরও উপকার হয়। ইংরেজের আত্মাভিমান সভ্যতাগৰ্ব জাত্যহংকার কি যথেষ্ট নাই, কবি কি কেবল সেই অগ্নিতেই আহুতি দিবেন ? এখনও কি নম্রতাশিক্ষা ও প্রেমচর্চার সময় হয় নাই ? সৌভাগ্যের উন্নততম শিখরে অধিরোহণ করিয়া এখনও কি हैश्वज কবি কেবল আত্মঘোষণা করিবেন। কিন্তু আমাদের মতো অবস্থাপন্ন লোকের মুখে এ-সকল কথা কেমন শোভন হয় না, সেইজন্ত বলিতেও লজ্জা বোধ হয়। দায়ে পড়িয়া প্রেম ভিক্ষা করার মতে দীনতা আর কিছু নাই। এবং এ-সম্বন্ধে দুই-এক কথা আমাদিগকে মাঝে মাঝে শুনিতেও হয়। মনে পড়িতেছে কিছুদিন হইল ভক্তিভাজন প্রতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের এক পত্রের উত্তরে লগুনের স্পেক্টেটর পত্র বলিয়াছিলেন, নব্য বাঙালিদের অনেকগুলা ভালো লক্ষণ আছে কিন্তু একটা দোষ দেখিতেছি সিমপ্যাথি-লালসাটা তাহাদের বড়ো বেশি হইয়াছে । এ দোষ স্বীকার করিতে হয় এবং এতক্ষণ আমি যে-ভাবে কথাগুলা বলিয়া আসিতেছি তাহাতে এ দোষ হাতে হাতে প্রমাণ হয় । ইংরেজের কাছ হইতে আদর পাইবার ইচ্ছাটা আমাদের কিছু অস্বাভাবিক পরিমাণে বাড়িয়া উঠিয়াছে। তাহার কারণ, আমরা স্পেক্টেটরের স্তায় স্বাভাবিক অবস্থায় নাই। আমরা যখন “তুষার্ত হইয়া চাহি এক ঘটি জল” আমাদের রাজা তপন “তাড়াতাড়ি এনে দেয় আধখানা বেল ।” আধখানা বেল সময়বিশেষে অত্যন্ত উপাদেয় হইতে পারে কিন্তু তাহাতে ক্ষুধাতৃষ্ণ দুই একসঙ্গে দূর হয় না। ইংরেজের মুনিয়মিত সুবিচারিত গবর্মেন্ট অত্যন্ত উত্তম এবং উপাদেয় কিন্তু তাহাতে প্রজার হৃদয়ের তৃষ্ণ মোচন ন হইতেও পরে, এমন কি, গুরুপাক প্রচুর ভোজনের স্তায় তদ্বারা তৃষ্ণ অত্যন্ত বাড়িয়া উঠিতেও আটক নাই। স্পেক্টেটর দেশদেশাস্তরের সকলপ্রকার ভোজ্য এবং সকলপ্রকার পানীয় অপর্যাপ্ত পরিমাণে আহরণ করিয়া পরিপূর্ণ ডিনারের মাঝখানে বসিয়া কিছুতেই ভাবিয়া পান না তাহাদের বাতায়নের বহি:স্থিত পথপ্রাস্তবতী હરે বিদেশী বাঙালিটির এমন বুভুক্ষু কাঙালের মতো ভাবধান কেন ? কিন্তু স্পেক্টেটর গুনিয়া হয়তো মুখী হইবেন, অতিদুষ্প্রাপ্য র্তাহাদের সেই সিমপ্যাথির আঙুর ক্রমে আমাদের নিকটও টক হইয়া আসিয়াছে। আমরা অনেকক্ষণ উর্ধ্বে লোলুপ দৃষ্টিপাত করিয়া অবশেষে ধীরে ধীরে ঘরে ফিরিবার উপক্রম করিতেছি। আমাদের এই চির-উপবাসী ক্ষুধিত স্বভাবের মধ্যেও যেটুকু মচুন্যত্ব অবশিষ্ট ছিল তাহ ক্রমে বিদ্রোহী হইয় উঠতেছে। আমরা বলিতে আরম্ভ করিয়াছি—তোমরা এতই কি শ্ৰেষ্ঠ। তোমরা না হয় কল به جه------ه لا
