পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী و& 8e i 融 ഷ്, ķf একমাত্র উপজীব্য খাদ্যধগুটুকু দেখে চারিদিকে চাহিয়া গোপনে ছে৷ মারিয়া লয় এবং যখন তাহার ক্রদনে গগনতল বিদীর্ণ হইতে থাকে তখন সমাগত স্বজাতীয় পাস্থদের প্রতি চোখ টপিয়া বলে এই অসভ্য কালে ছোকরাটাকে আচ্ছ শাসন করিয়া দিয়াছি। কিন্তু স্বীকার করে না যে, ক্ষুধা পাইয়াছিল তাই কাড়িয়া খাইয়াছি। পুরাকালের দস্তাবৃত্তির সহিত এই অধুনাতন কালের চৌধবৃত্তির অনেক প্রভেদ আছে। এখনকার অপহরণব্যাপারের মধ্যে পূর্বকালের সেই নির্লজ্জ অসংকোচ বলদৰ্প থাকিতেই পারে না । এখন নিজের কাজের সম্বন্ধে নিজের চেতনা জন্মিয়াছে সুতরাং এখন প্রত্যেক কাজের জন্য বিচারের দায়িক হইতে হয়। . তাহাতে কাজও পূর্বের মতো তেমন সহজে সম্পন্ন হয় না এবং গালিও থাইতে হয় । পুরাতন দস্থ্য যদি দুর্ভাগ্যক্রমে উনবিংশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করে তবে তাহার আবির্ভাব নিতান্ত অসাময়িক হইয়া পড়ে । সমাজে এরূপ অসাময়িক আবির্ভাব সর্বদা ঘটিয়া থাকে। দস্থ্য বিস্তর জন্মে কিন্তু সহসা তাহাদিগকে চেনা যায় না—অকালে অস্থানে পড়িয়া তাহারা অনেক সময় আপনাদিগকেও চেনে না। এদিকে তাহারা গাড়ি চড়িয়া বেড়ায়, সংবাদপত্র পড়ে, হুইস্ট খেলে, স্ত্রীসমাজে মধুরালাপ করে, কেহ সন্দেহমাত্র করে না যে, এই সাদা কামিজ কালে কোর্তার মধ্যে রবিন হুডের নব অবতার ফিরিয়া বেড়াইতেছে। যুরোপের বাহিরে গিয়া ইহারা সহসা পূর্ণশক্তিতে প্রকাশিত হইয়া পড়ে। ধর্মনীতির আবরণমুক্ত সেই উংকট রুদ্রমূর্তির কথা পূর্বেই বলিয়াছি। কিন্তু যুরোপের সমাজমধ্যেই যে-সমস্ত ভস্মাচ্ছাদিত অঙ্গার আছে তাহদেরও উত্তাপ বড়ো অল্প নহে । ইহারাই আজকাল বলিতেছে, বলনীতির সহিত প্রেমনীতিকে যোগ করিলে নীতির নীতিত্ব বাড়িতে পারে কিন্তু বলের বলহু কমিয়া যায়। প্রেম দয়া এ-সব কথা শুনিতে বেশ–কিন্তু যেখানে আমরা রক্তপাত করিয়া আপন প্রভূত্ব প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি সেখানে যে নীতিদুর্বল মব শতাব্দীর সুকুমারহৃদয় শিশু সেণ্টিমেন্টের অশ্রপাত করিতে আসে তাহাকে আমরা অন্তরের সহিত ঘৃণা কf । এখানে সংগীত সাহিত্য শিল্পকলা এবং শিষ্টাচার, সেখানে উলঙ্গ তরবারি এবং অসংকোচ একাধিপত্য । এইজন্য আমাদের কর্তৃজাতীয়দের মধ্য হইতে আজকাল দুই মুরের গলা গুনা যায়। একদল প্রবলতার পক্ষপাতী, আর একদল প্রেম এবং শাস্তি এবং সুবিচার জগতে বিস্তার করিতে চাহে । জাতি হৃদয় এইরূপে বিভক্ত হইয়া গেলে বলের খর্বত হয়—আপনি আপনাকে বাধা দিতে থাকে। আজকাল ভারতবর্ষীয় ইংরেজসম্প্রদায় ইহাই লইয়া সুতীব্র আক্ষেপ