পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমূহ @ eዓ সংকীর্ণ উপলক্ষ্যকে অবলম্বন করিয়া আমাদের কাছে উপস্থিত হইয়াছিল। অবশেষে দেখিতে দেখিতে আমরা বুঝিতে পারিলাম উপলক্ষ্যটুকুর অপেক্ষ ইহা অনেক বৃহৎ। এ ষে শক্তি। এ ষে সম্পদ। ইহা অন্তকে জন্ম করিবার নহে ইহা নিজেকে শক্ত করিবার। ইহার আর কোনো প্রয়োজন থাক বা না থাক ইহাকে বক্ষের মধ্যে সত্য বলিয়া অনুভব করাই সকলের চেয়ে বড়ে প্রয়োজন হইয়া উঠিয়াছে। শক্তির এই অকস্মাং অমুস্তৃতিতে আমরা যে একটা মস্ত ভরসার আনন্দ পাইয়াছি সেই আনন্দটুকু না থাকিলে এই বিদেশী-বর্জনব্যাপারে আমরা এত অবিরাম দুঃখ কখনোই সহিতে পারিতাম না। কেবলমাত্র ক্রোধের এত সহিষ্ণুতা নাই। বিশেষত প্রবলের বিরুদ্ধে দুর্বলের ক্রোধ কখনোই এত জোরের সঙ্গে দাড়াইতে পারে না । এদিকে দুঃখ যতই পাইতেছি সত্যের পরিচয়ও ততই নিবিড়তর সত্য হইয়া উঠতেছে । যতই দুঃখ পাইতেছি আমাদের শক্তি গভীরতায় ও ব্যাপ্তিতে ততই বাড়িয়া চলিয়াছে। আমাদের এই বড় দুঃখের ধন ক্রমেই আমাদের হৃদয়ের চিরন্তন সামগ্ৰী হইয়া উঠিতেছে। অগ্নিতে দেশের চিত্তকে বার বার গলাইয়া এই ষে ছাপ দেওয়া হইতেছে ইহা তো কোনোদিন আর মুছিবে না। এই রাজমোহরের ছাপ আমাদের দুঃখ সহায় দলিল হুইয়া থাকিবে –দুঃখের জোরে ইহা প্রস্তুত হইয়াছে এবং ইহার জোরেই দুঃখ সহিতে পারিব। * এইরূপে সত্য জিনিস পাইলে তাহার আনন্দ যে কত জোরে কাজ করে এবার তাহা স্পষ্ট দেখিয়া আশ্চর্ষ হইয়া গিয়াছি। কতদিন হইতে জ্ঞানী লোকের উপদেশ দিয়া আসিয়াছেন যে, হাতের কাজ করিতে ঘৃণা করিয়া, চাকরি করাকেই জীবনের সার বলিয়া জানিলে কখনোই আমরা মানুষ হইতে পারিব না। যে শুনিয়াছে সেই বলিয়াছে, ই, কথাটা সত্য বটে। আমনি সেই সঙ্গেই চাকরির দরখাস্ত লিখিতে হাত পাকাইতে বসিয়াছে। এতবড়ে চাকরিপিপাসু বাংলাদেশেও এমন একটা দিন আসিল মেদিন কিছু না বলিতেই ধনীর ছেলে নিজের হাতে তাত চালাইবার জন্ত তাতির কাছে শিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিল, ভদ্রম্বরের ছেলে নিজের মাথায় কাপড়ের মোট তুলিয়া দ্বারে দ্বারে বিক্রয় করিতে লাগিল এবং ব্রাহ্মণের ছেলে নিজের হাতে লাঙল বহা গৌরবের কাজ বলিয়া স্পর্ধ প্রকাশ করিল। আমাদের সমাজে ইহা ষে সম্ভবপর হইতে পারে আমরা স্বপ্নেও মনে করি নাই। তর্কের দ্বারা তর্ক মেটে না ; উপদেশের দ্বার সংস্কার খোচে না ; সত্য ৰখন ঘরের একটি কোণে একটু শিখার মতো দেখা দেন তখনই बब्रङब्रां पञककांबू यां★नि काठिंब्रां यांच्च । পূর্বে দেশের বড়ো প্রয়োজনের সময়েও আরে দ্বারে ভিক্ষ চাহিয়া অর্থের অপেক্ষা