পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট । ¢öዓ ইংরেজের আতঙ্ক

  • ১৮৫৫ খ্ৰীস্টাৰে হিন্দু মহাজনদের দ্বারা একান্ত উৎপীড়িত হইয়। গবর্মেন্টের নিকট নালিশ করিবার জন্ত সাওতালগণ তাহাদের অরণ্য-আবাস ছাড়িয়া কলিকাত অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিল । তখন ইংরেজ সাওতালকে ভালো করিয়া চিনিত না ;–তাহার কী চায়, কেন বাহির হইয়াছে কিছুই বুঝিতে পারিল না । এদিকে পথের মধ্যে পুলিস তাহাদের সহিত লাগিল—আহারও ফুরাইয়া গেল—পেটের জালায় লুটপাট আরম্ভ হইল। অবশেষে গবর্মেন্টের ফৌজ আসিয়া তাহাদিগকে দলকে-দল গুলি করিয়৷ ভূমিসাং করিতে লাগিল ।

এই ঘটনার উপলক্ষে হান্টার সাহেব বলেন, ভারতবর্ষে অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সম্প্রদায়ের সংখ্যা অল্প এবং তাহারা বহুসংখ্যক ভিন্নজাতীয় অধিবাসীর দ্বারা পরিবেষ্টিত । এরূপ অবস্থায় সামান্ত স্বত্রপাতেই বিপদের আশঙ্কাটা অত্যন্ত প্রবল. হইয় উঠে। তখন পরিণামের প্রতি লক্ষ্য করিয়া ধীরভাবে বিবেচনা করিবার সময় থাকে না—অতিসত্বর সবলে একটা চুড়ান্ত নিম্পত্তি করিয়া ফেলিবার প্রবৃত্তি জন্মে। যধন অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ানগণ এইরূপ কোনো কারণে অকস্মাং সন্ত্রস্ত হইয়া উঠে তখনই গবর্মেন্টের মাথা ঠাণ্ড রাখা বিশেষরূপে আবশ্বক হয় । হান্টার বলেন, এরূপ উত্তেজনার সময় ভারত-গবর্মেন্টকে প্রায়ই ঠাণ্ডা থাকিতে দেখা গিয়াছে। উপরি-উক্ত সাওতাল-উপপ্লবে কাটাকুটির কার্যটা বেশ রীতিমতো সমাধা করিয়া এবং বীরভূমের রাঙা মাটি সাওতালের রক্তে লোহিততর করিয়া দিয়া তাহার পরে ইংরেজরাজ হতভাগ্য বস্তুদিগের দুঃখনিবেদনে কর্ণপাত করিলেন । যখন বন্দুকের আওয়াজটা বন্ধ করিয়া তাহাদের সকল কথা ভালো করিয়া শুনিলেন তখন বুঝিলেন তাহাদের প্রার্থনা অন্যায় নহে। তখন তাহাদের আবশুকমতো আইনের সংশোধন, পুলিসের পরিবর্তন এবং যথোপযুক্ত বিচারাশালার প্রতিষ্ঠা করা হইল । কিন্তু অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সম্প্রদায়ের উন্ম তখনও নিবারণ হইল না । বিদ্রোহীদের প্রতি নিরতিশয় নির্দয় শাস্তিবিধান না করিয়া তাহারা ক্ষম্ভ হইতে চাহে না । তাহারা বলিল, বিদ্রোহীর স্বাহ চাহিয়াছিল সকলই যদি পাইল তবে তো তাহাদের বিদ্রোহের সার্থকতাসাধন করিয়া একপ্রকার পোষকতা করাই হইল। ক্যালকাটা রিভিপত্রের কোনো ইংরেজ লেখক এই শান্তিপ্রিয় নিরীহ সাওতালদিগকে বনের ব্যাঘ্ৰ, রক্তপিপাসু বর্বর প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত করিয়া, এক প্রবন্ধ লিখিলেন, তাহাতে, কেবল ميون سدس ه لا