পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O পরিশিষ্ট ¢ፃ© নিকট কনস্টিট্রাশনাল লাজুল আন্দোলনকেই সে আপন কর্তব্য জ্ঞান করে, তবে অস্ত রটর টুকরা এবং কল্য লাঠির গুতা খাইয়া পথের প্রান্তে পঞ্চস্থলাভই তাহার অষ্টে আছে। " এইরূপ ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে অনেক নীচত্র আপনি আসিয়া পড়ে। স্বাধীনক্ষমতাদৃপ্ত প্রভূর মন জোগাইতে গেলেই কপট নম্রতা, মিথ্যা আস্ফালন, সত্য গোপন এবং আত্মপ্রবঞ্চনা, দুর্বলপক্ষ স্বতই, অনেক সময় নিজের অজ্ঞাতসারেও, অবলম্বন করিয়া বসে। ইহাতে ক্রমশ যে হীনত আসে ভিক্ষালব্ধ অধিকারখণ্ডে তাহ পূরণ করিতে পারে না । 4. এইজন্য আমরা অনেক সময়ে ভাবিয়াছি গবর্মেন্ট অবজ্ঞাসহকারে কনগ্রেসের আবেদনে কর্ণপাত না করিয়া আমাদিগকে শাপে বর দিতেছেন । আমাদিগকে যথার্থ পথে প্রেরণ করিতেছেন। সে-পথ আত্মশক্তির পথ। ভিক্ষ যদি পূরণ করিতেন তবে আমাদিগকে কঠিন কর্তব্যপথ হইতে ভ্ৰষ্ট করিয়া সহজ দেশহিতৈষিতার সুকোমল হীনতাপস্কের মধ্যে, ভিত্তিহীন আত্মঙ্গাধা, অমূলক কৃত্রিম উন্নতি, এবং অনধিকারলদ্ধ আরামনিদ্রার রসাতলে লইয়া কেলিতেন। এ-কথা আমরা অস্তরের মধ্যে বুঝিতে আরম্ভ করিয়াছি। আমরা আপনাদিগকে জিজ্ঞাসা করিতেছি, এতদিন কী করিলাম, ইহাতে ফল কী হইতেছে ; এতকাল যাহা বর্ষে বর্ষে প্রার্থনা করিয়া আসিতেছি সবই যদি ইংরেজ-রাজ আমাদের জীর্ণ আঁচল পূর্ণ করিয়া দান করেন তবু কি আমরা যথার্থ বড়ো হইব, অন্তরের মধ্যে সার্থকতা অনুভব করিব ? এই সমস্ত প্রশ্ন এবং এই সকল সংশয় বর্ষে বর্ষে আমাদের উৎসাহ নির্বাণ করিয়া আনিতেছে । • কনগ্রেসের প্রত্যেক অধিবেশনেই আমাদিগকে দেশের হিতামুষ্ঠানে খানিকটা দূর করিয়া অগ্রসর হওয়া চাই। চাকা যে কেবলমাত্র তেল ও ঠেলার দ্বারা চলে তাহা নহে নিজের গতিবেগও তাহাকে চালনা করে। সেইরূপ, কাৰ্যচক্র লোকের আকর্ষণে যেমন চলে নিজের কর্মগতিতেও তেমনি বেগ প্রাপ্ত হয়,—কাজের দ্বারা কাজ অগ্রসর হয় । কিন্তু কাজের ভার যখন পরের উপর, কেবল প্রার্থনার অধিকার আমাদের—এবং সেই পরও যখন প্রতিকুল, তখন, কিছু যে কাজ হইতেছে তাহ অনুভব করিব কেমন করিয়া। এই লক্ষ্মীছাড়া ভিক্ষাকার্ধে আমাদের উৎসাহ কিসে সজীব রাখিবে। সমালোচ্য পত্ৰখানির এক জায়গায় আভাস আছে ষে নূতনত্বের হ্রাস হওয়াতে चांभांप्नब्र ॐ९णांइ क्लभ ब्रांब इहेद्रां यांगि८उ८छ् । किरू cषभन्न बिस्रांरमब्र नव नद