পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©8 শৈলতলে চরায় ধেতু রাখালশিশু বাজায় বেণু, চুড়ায় তারা সোনার মালা পরে। সোনার তুলি দিয়া লিখা চৈত্রমাসের মরীচিকা কাদায় হিয়া অপূর্বধন-তরে । গাছের পাতা যেমন কাপে দধিন-বায়ে মধুর তাপে, তেমনি মম কঁপিছে সারা প্রাণ । কঁপিছে দেহে কঁপিছে মনে হগওয়ার সাথে আলোর সনে, মমরিয়া উঠছে কলতান । কোন অতিথি এসেছে গে৷ কারেও আমি চিনি নে গো মোর দ্বারে কে করছে আনাগোনা । ছায়ায় আজি তরুর মূলে ঘাসের পরে নদীর কূলে ওগো তোরা শো না আমায় শোন— দূর আকাশের ঘুম-পাড়ানি মৌমাছিদের মন-হারানি জুই-ফোটানো ঘাস-দোলানো গান, জলের গায়ে পুলক-দেওয়৷ ফুলের গন্ধ কুড়িয়ে-নেওয়া Q চোপের পাতে ঘুম-বোলানে তান । শুনাস নে গো ক্লাস্ত বুকের বেদন যত সুপের দুপের প্রেমের কথা, আশার নিরাশার । শুনাও শুধু মৃদুমন্দ অর্থবিলীন কথার ছন্দ শুধু সুরের আকুল ঝংকার । ধারাযন্ত্রে সিনান করি যত্নে তুমি এস পরি’ চাপাবরন লঘু বসনখানি । ভালে আঁকে। ফুলের রেপ। চন্দনেরি পত্রলেপা, কোলের পরে সেতার লহ টানি । দূর দিগন্তে মাঠের পারে সুনীলছায়া গাছের সারে নয়ন দুটি মগন করি চাও । ভিন্নদেশী কবির গাথা অজানা কোন ভাষার গাথা গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া গাও ।