পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭હર রবীন্দ্র-রচনাবলী রাজা ও প্রজা সাধনা, শ্রাবণ, ১৩৪১ প্রসঙ্গ কথা ১–৫ ভারতী, জ্যৈষ্ঠ, শ্রাবণ, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, ১৩০৫ মুখুজো বনাম বাভুজ্যে ভারতী, ভাত্র, ১৩০৫ অপর পক্ষের কথা ভারতী, আশ্বিন, ১৩০৫ আলট্রা কনসার্ভেটিভ ভারতী, কার্তিক, ১৩০৫ বিরোধমূলক আদর্শ বঙ্গদর্শন, আশ্বিন, ১৩০৮ রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতি বঙ্গদর্শন, কাতিক, ΣΥΦ ο θ রাজকুটুম্ব বঙ্গদর্শন, বৈশাখ, ১৩১০ ঘুযাধুষি 學 বঙ্গদর্শন, ভাদ্র, ১৩১ • বঙ্গবিভাগ বঙ্গদর্শন, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১১ দেশের কথা বঙ্গদর্শন, শ্রাবণ, ১৩১১ ব্যাধি ও প্রতিকার ১৭ প্রবাসী, শ্রাবণ, ১৩১৪ যজ্ঞভঙ্গ • • প্রবাসী, মাঘ, ১৩১৪ দেশহিত বঙ্গদর্শন, আশ্বিন, ১৩১৫ স্বদেশী আন্দোলনের এক পর্বে যখন দেশে মতানৈক্য প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল তখন “দেশনায়ক” প্রবন্ধে ( পশুপতিনাথ বসুর সৌধপ্রাঙ্গণে আহূত মহাসভায় পঠিত, ১৫ বৈশাখ ১৩১৩ ) রবীন্দ্রনাথ “দেশের সমস্ত উদ্যমকে বিক্ষেপের ব্যর্থতা হইতে একের দিকে ফিরাইয়া আনিবার একমাত্র উপায়”রুপে “কোনো এক জনকে আমাদের অধিনায়ক বলিয়া স্বীকার” করিবার প্রস্তাব করেন, এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়কে “সকলে মিলিয়া প্রকান্তভাবে দেশনায়করূপে বরণ করিয়া লইবার জন্য” সমস্ত বঙ্গবাসীকে আহবান করেন : ১৮ অল্পকাল পূর্বে বাংলাদেশে স্বদেশী আন্দোলনের স্বপন প্রথম জোয়ার আসিয়াছিল, তখন ছাত্রদের মুখে এবং চারিদিকে “নেতা” “নেতা” “নেতা” রব উঠিয়াছিল। তখন এই নেতৃহীন দেশে অকস্মাং নেতা এতই অদ্ভূত সুলভ হইয়াছিল যে, আমাদের মত সাহিত্যরসবিহবল অকৰ্মণ্য লোকেরও নেতা হুইবার সাংঘাতিক ফাড় নিতান্তই অল্পের উপর দিয়া কাটিয়াছে। শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোকদের তখন এমনি বিপদের দিন গেছে যে, “আমি নেতা নই” বলিয়া গলায় চাদর দিলেও সেই তাছার গলার চাদরটা ধরিয়াই তাহাকে নেতার কাঠগড়ায় টানিয়া আনিবার নির্দর চেষ্টা করা হইয়াছে। n হঠাৎ সমস্ত দেশের এইরূপ উংকট নেতা'-বায়ুগ্ৰস্ত হুইবার কারণ এই যে,