পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 轟 ుd Q এবারে বরিশাল প্রাদেশিক সমিতিতে বাঙালি খুব একটা আঘাত পাইয়াছে, সে-কথা সকলেই জানেন । ভাতে মারার চেয়ে হাতে মারাটা উপস্থিতমতে গুরুতর বলিয়াই মনে হয় । আইন কলের রোলারের মতো নির্মমভাবে আমাদের অনেক আশা দলন করিতে পারে, কিন্তু পুলিসের সাক্ষাৎ হস্তক্ষেপ বলিতে কী বুঝায়, সশরীরে তাহার অভিজ্ঞতালাভ সম্রাস্ত ভদ্রলোকদের সদাসর্বদল ঘটে না । এবারে অকস্মাৎ তাহার প্রত্যক্ষ পরিচয় পাইয়া দেশের মান্তগণ্য লোকের চিত্ত जेन्ञ्चाख श्हेब्र। जेठैब्राप्झ् । একটা প্রতিকারের পথ, একটা কাজ করিবার ক্ষেত্র না পাইলে, বেদন নিজের প্রতি উত্তেজনার সমস্ত বেগ আকর্ষণ করিয়া অসংযত হইয়া অপরিমিতরূপে বড়ো হইয়া উঠে । আমরা জানিতাম, ব্রিটিশরাজ্যে আইন-জিনিসটা ধ্রুব— এইজন্য সকল উপত্রবের উপর আইনের দোহাই পাড়িতাম—কিন্তু আইন স্বয়ং বিচলিত হইয়া উপদ্রবের আকার ধারণ করিলে ক্ষণকালের জন্তও মনকে শাস্ত করিবার কোনো উপায় খুজিয়া পাওয়া যায় না । জলের মধ্যে তুফান উঠিলে লোকে ডাঙার দিকে ছোটে—কিন্তু ভূমিকম্পে ডাঙা যখন স্বয়ং দুলিতে আরম্ভ করে, যাহাকে অচল বলিয়া সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত ছিলাম, সে যখন চঞ্চল হইতে থাকে, তখনই বিভাষিক একেবারে বীভৎস হইয়া উঠে । এইরূপ সাধারণ চঞ্চলতার সময় সংপরামর্শের সময় নহে। আমিও এই দেশব্যাপী ক্ষোভের সময় স্থিরভাবে মন্ত্রণ দিতে অগ্রসর হইতাম না। কাল— যিনি নীরব, যিনি বিধাতার সুদৃঢ় দক্ষিণহস্ত, যিনি সকল ফলকে ধৈর্ষের সহিত পাকাইতে থাকেন, আমিও নিষ্ঠার সহিত তাহারই নিগৃঢ় নিয়মের প্রতি নির্ভর করিয়া প্রতীক্ষা করি এ স্থির করিয়াছিলাম, কিন্তু একটি মহান আশ্বাস এই অসময়েও আমাকে উৎসাহিত করিয়াছে । এবারে কর্তৃপুরুষদের সহিত সংঘাতে বাঙালি জয়ী হইয়াছে। এই সংকটকালে বাঙালি ষে-বলের পরিচয় দিয়াছে, সেই বলের দুষ্টান্তই তাহার সম্মুখে স্থিরভাবে ধরিব বলিয়া এই সভাস্থলে আমি অস্ত উপস্থিত হইয়াছি। সেদিনকার উপদ্রবে যাহার উপস্থিত ছিলেন, তাহারা সকলেই আমাদের ছাত্রদলের, যুবকগণের ও নায়কবর্গের অবিচলিত স্থৈৰ দেখিয়া বিশ্বয়াৰিত হইয়াছেন। ষে উংপাত কোনোমতে আশা করা যায় না, তাহ সহসা মাথার উপরে ভাঙিয়া পড়িলে তখনই মানুষের গভীরতর প্রকৃতি আপনাকে অনাবৃতভাবে 9 میٹاساس e الإ