রবীন্দ্র-রচনাবলী عضوا বিরহ-বৎসর পরে, মিলনের বীণা তেমন উন্মাদ-মন্দ্রে কেন বাজিলি না ? কেন তোর সপ্তস্বর সপ্তস্বর্গপানে ছুটিয়া গেল না উর্ধের্ব উদাম পরানে বসন্তে মানস-যাত্রী বলাকার মতো ? কেন তোর সর্ব তন্ত্র সবলে প্ৰহত মিলিত ঝংকারভরে কঁপিয়া কাদিয়া আনন্দের আর্ত রবে চিত্ত উন্মাদিয়া উঠিল না বাজি’ ? হতাশ্বাস মৃদুস্বরে গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া লাজে শঙ্কাভরে কেন মৌন হল ? তবে কি আমারি প্রিয়া সে পরশ-নিপুণতা গিয়াছে ভুলিয়া ? তবে কি আমারি বীণা ধূলিচ্ছন্ন-তার, সেদিনের মতে ক’রে বাজে নাকে আর ? ఏ ওরে পদ্মা, ওরে মোর রাক্ষসী প্রেয়সী লুব্ধ বাহু বাড়াইয়া উচ্ছসি উল্লসি আমারে কি পেতে চাস চির আলিঙ্গনে ? শুধু এক মুহূর্তের উন্মত্ত মিলনে তোর বক্ষমাঝে চাস করিতে বিলয় আমার বক্ষের যত সুখ দুঃপ ভয় ? আমিও তো কতদিন ভাবিয়াছি মনে বসি’ তোর তটোপান্তে প্রশান্ত নির্জনে, বাহিরে চঞ্চল তুই প্ৰমত্ত মুখরা শাণিত অসির মতো ভীষণ প্রধর,
