পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত পোহালেই পাড়ার গোয়ালা গাভীদুটি নিয়ে আসে, অধীর বাছুর ছুটােছুটি করে পাশে। সাড়ে ছটা বাজে, সোজা হয়ে রোদ চলে আসে মোর ঘরে, পথে দেখা দেয় খবরওয়ালা বাইক-রথের ‘পারে । আলসের ধারে এলোকেশিনীরা ঝোলায় সিক্ত শাড়ি । সবুজ গহনে দু-চােখ ডুবিয়ে সোনার সকাল কাটে । বাংলাদেশের বনপ্রকৃতির মন শহর এড়িয়ে রচিল। এখানে ছায়া দিয়ে ঘেরা কোণ। বাংলাদেশের গৃহিণী তাহার সাথে আপন স্নিগ্ধ হাতে সেবার অর্ঘ্য করেছে। রচনা নীরব-প্ৰণতি-ভরা, তারি আনন্দ কবিতায় দিল ধরা । শুনেছি। এবার হেথায় তোমার কদিনের ঘরবাড়ি মেঘরৌদ্রের খেলার সৃষ্টি ওই পুকুরের ধারে লজ্জিত হবে অকবি ধনীর দৃষ্টির অধিকারে। কালের লীলায় দিয়ে যাব সায়, খেদ রাখিব না চিতেএ ছবিখানি তো মন হতে ধনী পরিবে না কেড়ে নিতে । তোমার বাগানে দেখেছি তোমারে কাননলক্ষ্মীসমতাহারি স্মরণ মাম শীতের রৌদ্রে, মুখর বর্ষােরাতে কুলায়বিহীন পাখির মতন মিলিবে মেঘের সাথে । S V S 98\)