>१७ রবীন্দ্র-রচনাবলী
- বেশি বর্ষায় আগাছায় চাপা পড়েছে
বিলিতি বেগুনের চারা ; এসো-না, নিডিয়ে দেবে ।” বোঝা গেল না, ঠাট্টা কি সত্যি । লুকিয়ে আস্তিনটা দিলেম উলটিয়ে । অমিয়ার জন্যে একটা ব্ৰোচ্য ছিল পকেটে, বুঝলেম দিতে গেলে হীরোটাতে লাগবে প্রহসনের হাসি । একটু কেসে শুধালেম,
- এখানে থাকো কোথায় ।” বারি রেখে দিয়ে বললে, “ দেখবো ?”
নিয়ে গেল স্কুলের মধ্যে দালানের পুব দিকটাতে শতরাঞ্জের পর্দা দিয়ে ভাগ করা ঘরে ; KSG VSVEGF-Cross VIITSISK বিছানা রয়েছে গোটানো । টুলের উপর সেলাইয়ের কল, ছিটের খাপে ঢাকা সেতার | দেয়ালে-ঠেসান-দেওয়া । দক্ষিণের দরজার সামনে মাদুর পাতা, তার উপরে ছডিয়ে আছে ছােটা কাপড়, নানা রঙের ফিতে, রেশমের মোড়ক । উত্তর কোণের দেয়ালে ছোটো টিপায়ে হাত-আয়না, বেতের কুড়িতে টুকিটাকি । দক্ষিণ কোণের দেয়ালের গায়ে ছোটো টেবিলে লেখবার সামগ্রী আর রঙ-করা মাটির ভঁচাড়ে r একটি স্থলপদ্ম । অমিয়া বললে, “এই আমার বাসা একটু বোসো, আসছি। আমি ।” বাইরে জটা-বোলা বটের ডালে ডাকছে কোকিল । মান-কচুর ঝোপের পাশে বিষম খেপে উঠেছে একদল ঝগড়াটে শালিখা ।