পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y CAber- রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী আট বছর য়ুরোপে কাটিয়ে মহীভূষণ ফিরেছেন দেশে । বাবা বললেন, “বিষয়কর্ম দেখো ।” ছেলে বললে, “কী হবে ।” লোকে বললে, ওর বুদ্ধির কাচা ফলে ঠোকর দিয়েছে রাশিয়ার লক্ষ্মী-খেদানো বাদুড়টা । অমিয়ার বাবা বললেন, “ভয় নেই, নরম হয়ে এল বলে দেশের ভিজে হাওয়ায় ।” দুদিনে অমিয়া হল তার চেলা । যখন—তখন আসত মহীভূষণ, আশপাশের হাসাহসি কানাকানি গায়ে লাগত না কিছুই । দিনের পর দিন যায় অধীর হয়ে অমিয়ার বাবা তুললেন বিয়ের কথা । মহী বললে, “কী হবে ।” বাবা রেগে বললেন, “তবে তুমি আসা কেন রোজ ।” অনায়াসে বললে মহীভূষণ, “অমিয়াকে নিয়ে যেতে চাই যেখানে ওর কাজ ।” অমিয়ার শেষ কথা এই “এসেছি তারই কাজে । উপকরণের দুর্গ থেকে তিনি করেছেন আমাকে উদ্ধার ।” আমি শুধালেম, “ কোথায় আছেন তিনি ।” অমিয়া বললে, “ জেলখানায় ।” N শান্তিনিকেতন SO VISTER >> eNe দুর্বোধি অধ্যাপক মশায় বোঝাতে গেলেন নাটকটিার অর্থ, সেটা হয়ে উঠল বোধের অতীত । আমার সেই নাটকের কথা বলি - নায়ক তার কুশলসেন । নবনীর কাছে বিদায় নিয়ে সে গেল বিলোতে । চার বছর পরে ফিরে এসে হবে বিয়ে । নবনী কাদাল উপপুড় হয়ে বিছানায়, তার মনে হল, এ যেন চার বছরের মৃত্যুদণ্ড । নবনীকে কুশলের প্রয়োজন ছিল না ভালোবাসার পথে, প্ৰয়োজন ছিল সুগম করতে বিলাত-যাত্রার পথ ।