পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGł 8 w রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী রামমোহন । ঠাট্টা শেষ হয়ে গেছে, এখন বিপদের পালা । শীঘ্র এসো । রামচন্দ্র । আর ভয় দেখাতে হবে না, এখন আমার সময় নেই । রামমোহন । এ দিকেও সময় একটুও নেই। আচ্ছা, এই দিকে আসুন, বলছি । (রামচন্দ্ৰকে জনাস্তিকে) প্রতাপাদিত্য মহারাজ সব কথা শুনেছেন । রামচন্দ্র । না শুনলে মজাটা কী । রামমোহন । কী বলেন মহারাজ, মজা ! তিনি আপনার শ্বশুর, আপনার ঠাট্টার সম্পর্ক তো নন | রামচন্দ্র । আমার ঠাট্টা চলছে শালাদের নিয়ে । তিনি সেটা যদি গায়ে মাখেন সেটা কি আমার 0प्रास ? রামমোহন । সে বিচার এখন নয় । আপাতত প্ৰাণদণ্ডের হুকুম হয়েছে, কাল সকালেই— রামচন্দ্র । তুমি শুনলে কোথা থেকে ? রামমোহন । যুবরাজের নিজের মুখ থেকে । রামচন্দ্র । তোর মতো বোকা দুনিয়ায় নেই রে । যুবরাজ ঠাট্টা করেছে বুঝতে পারিস নে ! 26ttee রামমোহন । দোহাই তোমার, একটুও ঠাট্টা নয় । রামচন্দ্র । আমাকে ঠাট্টায় ওরা হারাতে পারবে না । তুই এখন যা । রামমোহন । আচ্ছা, আমি যুবরাজকে ডেকে আনছি। রামচন্দ্র । (নটীদের প্রতি) ধরে গান - নটীদের নাচ ও গান মনের কথা খোজে । সেথায় কালো ছায়ার মায়ার ঘোরে । পথ হারালো ও যে । নীরব দিঠে শুধায় যত পায় না। সাড়া মনের মতো, অবুঝ হয়ে রায় সে চেয়ে অশ্রদ্ধারায় মাজে । তুমি আমার কথার আভাখনি পেয়েছ কি মনে । এই—যে আমি মালা আনি তার বাণী কেউ শোনে ? পথ দিয়ে যাই, যেতে যেতে হাওয়ায় ব্যথা দিই যে পেতে ; তার ভাষা কেউ বোঝে ? রামচন্দ্ৰ । বেটা রামমোহন আমার মনটা মিছিমিছি। খারাপ করে দিয়ে গেল । এ কেমন গোয়ার-গোছের ঠাট্ট এ বাড়ির ? শ্যালাদের রসের জ্ঞান একটুও নেই । থেমো না, আর একটা গান ধরে । একটু দ্রুততালে ।