পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5阁邻两 অনধিকার প্রবেশ অনুষ্ঠান সম্বন্ধে ব্যক্তি রাখিয়ছিল। ঠাকুরবাড়ির মাধবীবিতান হইতে ফুল তুলিয়া আনিতে পরিবে কি uSSDDBB DDBD BB S BB BBDB BuuBDu SBBBS BBLBB DBBB DBDDD SBBBB BBB BDS কাজটি শুনিতে সহজ অথচ করিতে কেন সহজ নাহে তাহার বৃত্তান্ত আর-একটু বিস্তারিত করিয়া বলা আবশ্যক । পরলোকগত মাধবচন্দ্র তর্কবাচস্পতির বিধবা শ্ৰী জয়কালী দেবী এই রাধানাথ জীউর মন্দিরের অধিকারিণী । অধ্যাপক মহাশয় টোলে যে তর্কবাচস্পতি উপাধি প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন পত্নীর নিকটে একদিনের জন্যও সে উপাধি সপ্ৰমাণ করিতে পারেন নাই । কোনো কোনো পণ্ডিতের মতে উপাধিব৷ সার্থকতা ঘটিয়াছিল, কারণ তর্ক এবং বাকী সমস্তই তােহর পত্নীর অংশে পড়িয়ছিল, তিনি পতিরূপে তাহার সম্পূর্ণ ফলভোগ করিয়াছিলেন ।

  • সত্যের অনুরোধে বলিতে হইবে জয়কালী অধিক কথা কহিতেন না। কিন্তু অনেক সময় দুটি কথায়, এমনকি, নীরবে অতি বড়ো প্ৰবল মুখবেগও বন্ধ করিয়া দিতে পারিতেন ।

জয়কালী দীর্ঘাকার দৃঢ়শারীর তীক্ষনাসা প্রখরবুদ্ধি স্ত্রীলোক । তাহার স্বামী বর্তমানে তঁহাদের দেবোত্তর সম্পত্তি নষ্ট হইবার জো হইয়াছিল। বিধবা তাহার সমস্ত বাকি বকেয়া আদায়, সীমােসরহাদ স্থির এবং বহুকালের বেদখল উদ্ধার করিয়া সমস্ত পরিকার করিয়াছিলেন। তঁহার প্রাপ্য হইতে কেহ তাহাকে এক কড়ি বঞ্চিত করিতে পারিত না । এই শ্ৰীলোকটির প্রকৃতির মধ্যে বহুল পরিমাণে পীেক্লবের অংশ থাকাতে তাহার যথার্থ সঙ্গী কেহ ছিল না । শ্ৰীলোকেরা তাহাকে ভয় করিত । পরনিন্দ, ছোটো কথা বা নাকি কাল্লা তাহার অসহ্য ছিল । পুরুষেরাও তীহাকে ভয় করিত ; কারণ, পল্লীবাসী ভদ্রপুরুষদের চণ্ডীমণ্ডপগত অগাধ আলস্যকে তিনি একপ্রকার নীরব ঘূণাপূর্ণ তীক্ষ কটাক্ষের দ্বারা ধিককার করিয়া যাইতে পারিতেন যাহা তাহাজের স্থূল জড়ত্ব ভেদ করিয়াও অন্তরে প্রবেশ করিত । প্রবল রূপে ঘৃণা করিবার এবং সে ঘৃণা প্রবল রূপে প্ৰকাশ করিবার অসাধারণ ক্ষমতা এই প্রৌঢ়া বিধবাটির ছিল । বিচারে যাহাকে অপরাধী করিতেন তাহাকে তিনি কথায় এবং বিনা কথায়, ভাবে এবং ভঙ্গিতে একেবারে দন্ধ করিয়া যাইতে পারিতেন । পল্লীর সমস্ত ক্রিয়াকর্মে বিপদে সম্পদে তাহার নিরলস হস্ত ছিল । সর্বত্রই তিনি নিজের একটি গৌরবের স্থান বিনা চেষ্টায় অতি সহজেই অধিকার করিয়া লইতেন । যেখানে তিনি উপস্থিত থাকিতেন সেখানে তিনিই যে সকলের প্রধানপদে, সে সম্বন্ধে তাহার নিজের অথবা উপস্থিত কোনো ব্যক্তির মনে কিছুমাত্র সন্দেহ থাকিত না । রোগীর সেবায় তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন, কিন্তু রোগী তীহাকে বমেরই মতো ভয় করিত । পথ্য বা নিয়মের লেশমাত্র লঙ্ঘন হইলে তঁহার ক্রোধানল রোগের তাপ অপেক্ষা রোগীকে অধিক উত্তপ্ত করিয়া তুলিত ।