পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

எளுஆை V)( 'S সে যদি অহংকার করিয়া সুখী হয় তাহাতে আনার তো সিকি পয়সার লোকসান নাই, বরং সে বেচারার ञसून् टभ८छ् ! ইহাও দেখা গিয়াছে আমি ব্যতীত আর কেহ কৈলাসবাবুর উপর রাগ করিত না । কারণ এত বড়ো নিরীহ লোক সচরাচর দেখা যায় না । ক্রিয়াকর্মে সুখে দুঃখে প্রতিবেশীদের সহিত তাহার সম্পূর্ণ যোগ ছিল । ছেলে হইতে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলকেই দেখা হইবামাত্র তিনি হাসি মুখে প্রিয় সম্ভাষণ করিতেন ; যেখানে যাহার যে-কেহ আছে সকলেরই কুশল সংবাদ জিজ্ঞাসা করিয়া। তবে তাহার শিষ্টতা বিরাম লাভ করিত । এইজন্য কাহারো সহিত তাহার দেখা হইলে একটা সুদীর্ঘ প্রশ্নোত্তরমালার সৃষ্টি হইতভালো তো ? শশী ভালো আছে ? আমাদের বড়োবাবু ভালো আছেন ? মধুর ছেলেটির জ্বর হয়েছিল। শুনেছিলুম, সে এখন ভালো আছে তো ? হরিচরণবাবুকে অনেক কাল দেবি নি, তার অসুখবিসুখ কিছু হয় নি ? তোমাদের রাখালের খবর কী । বাড়ির ঐয়ারা সকলে ভালো আছেন ? ইত্যাদি । লোকটি ভগরি পরিকর পরিচ্ছত্র । কাপড়চোপড় অধিক ছিল না, কিন্তু মেরেজাইটি চাদরটি জামাটি, এমন-কি, বিছানার পাতিবার একটি পুরাতন র্যাপার, বালিশের ওয়াড়, একটি ক্ষুদ্র সতরঞ্চ, সমান্ত রাখিতেন । যখনই তাহাকে দেখা যাইত তখনই মনে হইত যেন তিনি সুসজ্জিত প্ৰস্তুত হইয়া আছেন । অল্পস্বল্প সামান্য আসবাবেও তাহার ঘরদ্বার সমুজ্জ্বল হইয়া থাকিত । মনে হইত যেন তাহার আরো অনেক আছে । ভূত্যাভাবে অনেক সময় ঘরের দ্বার রুদ্ধ করিয়া তিনি নিজের হস্তে অতি পরিপাটি করিয়া ধুতি কেঁচাইতেন এবং চাদর ও জামার আস্তিন বহু যত্নে ও পরিশ্রমে গিলে করিয়া রাখিতেন । ওঁতাহার বড়ো বড়ো জমিদারি ও বহুমূল্যের বিষয়সম্পত্তি লোপ পাইয়াছে, কিন্তু একটি বহুমূল্য গোলাপপাশ, আতরদান, একটি সোনার ব্লেকবি, একটি রুপার আলবোলা, একটি বহুমূল্য শাল ও সেকেলে জামাজোড়া ও পাগড়ি দারিদ্র্যের গ্রাস হইতে বহুচেষ্টায় তিনি রক্ষা করিয়াছিলেন । কোনো একটা উপলক্ষ উপস্থিত হইলে এইগুলি বাহির হইত এবং নয়নজোড়ের জগদবিখ্যাত বাবুদের গৌরব রক্ষা হইত { এ দিকে কৈলাসবাবু মাটির মানুষ হইলেও কথায় যে অহংকার করিতেন সেটা যেন পূর্বপুরুষদের প্ৰতি কর্তব্যবোধে করিতেন ; সকল লোকেই তাহতে প্রশ্ৰয় দিত এবং বিশেষ আমোদ বোধ করিত-। পাড়ার লোকে তাহকে ঠাকুরদামশাই বলিত এবং তাহার ওখানে সর্বদা বিস্তর লোকসমাগম কেহ না কেহ দুই-এক সেরা তামাক কিনিয়া লইয়া গিয়া তাহাকে বলিত, “ঠাকুরদামশায়, একবার পরীক্ষা করিয়া দেখো দেখি, ভালো গয়ার তামাক পাওয়া গেছে।” ঠাকুরদামশায় দুই-এক টান টানিয়া বলিতেন, “বেশ ভাই, বেশ তামাক ।” অমনি সেই উপলক্ষে ফাট-পয়ষট্টি টাকা ভরির তামাকের গল্প পাড়িতেন ; এবং জিজ্ঞাসা করিতেন, সে তামাক কাহারো আস্বাদ করিয়া দেখিবার ইচ্ছা আছে কি না । SLBBOBBB BTDDTB BBB BBB BDBD BBB BBB BDBBD BDBBD DLLL uBB BBBB BBLBBD DDB D DBD অনেক অন্বেষণের পর প্রকাশ পাইবে যে, পুরাতন ভূত্য গণেশ বেটা কোথায় যে কী রাখে তাহার। আর ঠিকানা নাই— গপেশও বিনা প্রতিবাদে সমস্ত অপবাদ স্বীকার করিয়া লইবে । এইজন্যই সকলেই একবাক্যে বলিত, “ঠাকুরদামশায়, কাজ নেই, সে তামাক আমাদের সহ্য হবে না, আমাদের এই ভালো ।” শুনিয়া ঠাকুরুদা দ্বিরুক্তি না করিয়া ঈষৎ হাস্য করিতেন । সকলে বিদায় লইবার কালে বৃদ্ধ হঠাৎ বলিয়া উঠিতেন, “সে যেন হল, তোমরা কবে আমার এখানে খাবে বলে দেখি ভাই ।” অমনি সকলে বলিত, “সে একটা দিন ঠিক করে দেখা যাবে।” ঠাকুরুদামহাশয় বলিতেন, “সেই ভালো, একটু বৃষ্টি পড়ুক, ঠাণ্ডা হােক, নইলে এ গরমে