পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۰-- سهبع জাপান-যাত্রী 8のぬ দেখছি, আলো এগিয়ে চলেছে। অন্ধকারের অকুলে, অন্ধকার নেমে আসছে আলোর কুলে। আলোর মন ভুলেছে কালোয়, কালোর মন ভুলেছে আলোয় । । মানুষ যখন জগৎকে না-এর দিক থেকে দেখে, তখন তার রূপক একেবারে উলটে যায়। প্রকাশের একটা উলটাে পিঠ আছে, সে হচ্ছে প্ৰলয় । মৃত্যুর ভিতর দিয়ে ছাড়া প্ৰাণের বিকাশ হতেই পারে না । হয়ে ওঠার মধ্যে দুটাে জিনিস থাকাই চাই- যাওয়া এবং হওয়া । হওয়াটাই হচ্ছে মুখ্য, যাওয়াটাই গৌণ । কিন্তু মানুষ যদি উলটাে পিঠেই চোখ রাখে, বলে, সবই যাচ্ছে, কিছুই থাকছে না ; বলে, জগৎ বিনাশেরই প্রতিরূপ, সমস্তই মায়া, যা-কিছু দেখছি। এ-সমস্তই না’ ; তা হলে এই প্ৰকাশের রূপকেই সে কালো করে, ভয়ংকর করে দেখে ; তখন সে দেখে, এই কালো কোথাও এগাচ্ছে না, কেবল বিনাশের বেশে নৃত্য করছে। আর, অনন্ত রয়েছেন আপনাতে আপনি নির্লিপ্ত, এই কালিমা তার বুকের উপর মৃত্যুর ছায়ার মতো চঞ্চল হয়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু স্তব্ধকে স্পর্শ করতে পারছে না। এই কালো দৃশ্যত আছে, কিন্তু বস্তুত নেই ; আর যিনি কেবলমাত্র আছেন তিনি স্থির, ঐ প্রলয়রূপিণী না-থাকা র্তাকে লেশমাত্র বিক্ষুব্ধ করে না । এখানে আলোর সঙ্গে কালোর সেই সম্বন্ধ, থাকার সঙ্গে না-থাকার যে সম্বন্ধ । কালোর সঙ্গে আলোর আনন্দের লীলা নেই ; এখানে যোগের অর্থ হচ্ছে প্রেমের যোগ নয়, জ্ঞানের যোগ । দুইয়ের যোগে এক নয়, একের মধ্যেই এক । মিলনে এক নয়, প্রলয়ে এক । কথাটাকে আর-একটু পরিষ্কার করবার চেষ্টা করি । একজন লোক ব্যাবসা করছে। সে লোক করছে কী । তার মূলধনকে অর্থাৎ পাওয়া-সম্পদকে সে মুনফা অর্থাৎ না-পাওয়া সম্পদের দিকে প্রেরণ করছে। পাওয়া-সম্পদটা সীমাবদ্ধ ও ব্যক্ত, না-পাওয়া সম্পদটা অসীম ও অব্যক্ত । পাওয়া-সম্পদ সমস্ত বিপদ স্বীকার করে না-পাওয়া সম্পদের অভিসারে চলেছে। না-পাওয়া সম্পদ অদৃশ্য ও অলব্ধ বটে। কিন্তু তার বাঁশি বাজছে, সেই বাঁশি ভূমার বঁাশি। যে-বণিক সেই বাঁশি শোনে সে আপন ব্যাঙ্কে-জমানো কোম্পানি-কাগজের কুশ । ত্যাগ করে সাগর গিরি ডিঙিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এখানে কী দেখছি। না, পাওয়া-সম্পদের সঙ্গে না-পাওয়া সম্পদের একটি লাভের যোগ আছে । এই যোগে উভয়ত আনন্দ । কেননা, এই যোগে পাওয়া না-পাওয়াকে পাচ্ছে, এবং না-পাওয়া পাওয়ার মধ্যে ক্রমাগত আপনাকেই পাচ্ছে। কিন্তু মনে করা যাক, একজন ভীতু লোক বণিকের খাতায় ঐ খরচের দিকের হিসাবটাই দেখছে। বণিক কেবলই আপনার পাওয়া টাকা খরচ করেই চলেছে, তার অন্ত নেই। তার গা শিউরে ওঠে । সে বলে, এই তো প্ৰলয় ! খরচের হিসাবের কালো অঙ্কগুলো রক্তলোলুপ রসনা দুলিয়ে কেবলই যে নৃত্য করছে। যা খরচ, অৰ্থাৎ বস্তুত যা নেই, তাই প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড অঙ্ক-বস্তুর আকার ধরে খাতা জুড়ে বেড়ে বেড়েই চলেছে। একেই তো বলে মায়া । বণিক মুগ্ধ হয়ে এই মায়া-অঙ্কটির চিরদীর্ঘায়মান শৃঙ্খল কাটাতে পারছে না। এ-স্থলে মুক্তিটা কী । না, ঐ সচল অঙ্কগুলোকে একেবারে লোপ করে দিয়ে খাতার নিশ্চল নির্কিকার শুভ্ৰ কাগজের মধ্যে নিরাপদ ও নিরঞ্জন হয়ে স্থিরত্ব লাভ করা । দেওয়া ও পাওয়ার মধ্যে যে একটি আনন্দময় সম্বন্ধ আছে যে-সম্বন্ধ থাকার দরুন মানুষ দুঃসাহসের পথে যাত্রা ক'রে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জয়লাভ করে, ভীতু মানুষ তাকে দেখতে পায় না। তাই বলে মায়াময়মিদমখিলং হিতা ব্ৰহ্মপদং প্রবিশাশু বিদিতা ৷ চীন সমুদ্র । তোসামারু १२ऐखाई ४७२७