পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ আগস্ট ১৯৩২ বীথিক বনস্পতি কোথা হতে পেলে তুমি অতি পুরাতন এ যৌবন, হে তরু প্ৰবীণ, প্ৰতিদিন জরাকে ঝরাও তুমি কি নিগৃঢ় তেজে প্রতিদিন আসো তুমি সেজে সদ্য জীবনের মহিমায় । নবীন প্ৰভাত তার অক্লান্ত কিরণে তোমাতে জাগায় লীলা নিরন্তর শ্যামলে হিরণে । দিনে দিনে পথিকের দল ক্লিষ্টপদতল তব ছায়াবীথি দিয়ে রাত্রি-পানে ধায় নিরুদেশ ; আর তো ফেরে না তারা, যাত্রা করে শেষ । তোমার নিশ্চল যাত্রা নব নব পল্লব-উদগমে, ঋতুর গতির ভঙ্গে পুষ্পের উদ্যমে । প্ৰাণের নিবরিলীলা স্তব্ধ রূপান্তরে দিগন্তেরে পুলকিত করে । তপোবনবালকের মতো সঞ্জীবন-সামমন্ত্র-গাথা । মাটিরে করিছে প্ৰত্যপণ মাটির যা মর্ত্যধন ; মৃত্যুভার সপিছে মৃত্যুরে a. মর্মরিত আনন্দের সুরে । সেইক্ষণে নবকিশলয় অমর অশোক সষ্টির প্রথম বাণী ; বায়ু হতে লয় টানি চিরপ্রবাহিত নৃত্যের অমৃত ।