পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী Σ Σ (? গান আমাদের খেপিয়ে বেড়ায় যে কোথায় কুকিয়ে থাকে রে । ছুটল বেগে ফাগুন হাওয়া কোন খেপামির নেশায় পাওয়া । ঘূর্ণ হাওয়ায় ঘুরিয়ে দিল স্বৰ্ষতারাকে। মাঝি । ওহে তোমাদের হাওয়ার জোর অাছে— দরজায় ধাক্কা লাগিয়েছে। এখন সেই বুড়োটার খবর দাও । মাঝি। সেই যে বুড়িটা রাস্তার মোড়ে বসে চরকা কাটে তাকে জিজ্ঞাসা করলে হয় না ? জিজ্ঞাসা করেছিলুম— সে বলে, সামনে দিয়ে কত ছায়া যায়, কত ছায় আসে, কাকেই বা চিনি । ও যে একই জায়গায় বসে থাকে, ও কারও ঠিকানা জানে না। মাঝি, তুমি ঘাটে ঘাটে অনেক ঘুরেছ, তুমি নিশ্চয় বলতে পার কোথায় সেই— মাঝি । ভাই, আমার ব্যাবসা হচ্ছে পথ ঠিক করা— কাদের পথ, কিসের পথ সে আমার জানবার দরকার হয় না। আমার দৌড় ঘাট পর্যন্ত, ঘর পর্যন্ত না । আচ্ছা চলে৷ তো, পথগুলো পরখ করে দেখা যাক । গান কোন থেপামির তালে নাচে পাগল সাগরনীর । সেই তালে যে পা ফেলে যাই, রইতে নারি স্থির । চল রে সোজা, ফেল রে বোঝা, রেখে দে তোর রাস্তা খোজা, চলার বেগে পায়ের তলায় { , রাস্তা জেগেছে ৷ মাঝি। ওই যে কোটাল আসছে, ওকে জিজ্ঞাসা করলে হয়— আমি পথের খবর জানি, ও পথিকদের খবর জানে ।