পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ల রবীন্দ্র-রচনাবলী ওহে কোটাল হে, কোটাল হে । কোটাল। কে গো, তোমরা কে । আমাদের যা দেখছ তাই, পরিচয় দেবার কিছুই নেই। কোটাল। কী চাই । চন্দ্রহাস। বুড়োকে খুজতে বেরিয়েছি। কোটাল। কোন বুড়োকে । সেই চিরকালের বুড়োকে । কোটাল । এ তোমাদের কেমন খেয়াল। তোমরা খোজ তাকে ? সে-ই তো তোমাদের খোজ করছে । চন্দ্রহাস । কেন বলে। তো । কোটাল। সে নিজের হিমরক্তটা গরম করে নিতে চায়, তপ্ত যৌবনের পরে তার বড়ো লোভ । চন্দ্রহাস । আমরা তাকে কষে গরম করে দেব, সে-ভাবনা নেই। এখন দেখা পেলে হয়। তুমি তাকে দেখেছ ? jk কোটাল। আমার রাতের বেলার পাহারা— দেখি ঢের লোক, চেহারা বুঝি নে। কিন্তু বাপু, তাকেই সকলে বলে ছেলেধর, উলটে তোমরা তাকে ধরতে চাও— এটা যে পুরো পাগলামি ! দেখেছ ? ধরা পড়েছি। পাগলামিই তো । চিনতে দেরি হয় না। কোটাল। আমি কোটাল, পথ-চলতি যাদের দেখি সবাই এক ছাদের । তাই অদ্ভুত কিছু দেখলেই চোখে ঠেকে। is? ওই শোনো ! পাড়ার ভদ্রলোকমাত্রই ওই কথা বলে— আমরা অদ্ভুত । আমরা অদ্ভুত বই-কি, কোনো ভুল নেই। কোটাল। কিন্তু তোমরা ছেলেমানষি করছ । ওই রে, আবার ধরা পড়েছি। দাদাও ঠিক ওই কথাই বলে । অতি প্রাচীন কাল থেকে আমরা ছেলেমানষিই করছি। ওতে আমরা একেবারে পাকা হয়ে গেছি। চন্দ্রহাস । আমাদের এক সর্দার আছে, সে ছেলেমানষিতে প্রবীণ । সে নিজের খেয়ালে এমনি হুহু করে চলেছে যে তার বয়েসটা কোন পিছনে খসে পড়ে গেছে, হুশ নেই । কোটাল। আর তোমরা ?