〉○○ রবীন্দ্র-রচনাবলী
বাঃ এ তো বেশ কথা! দাদা গেল পাড়ার লোককে চৌপদী শোনাতে, আর চন্দ্রহাস কোথায় গেল ঠিকানাই নেই!
বাউল। সে বললে, যুগে যুগে মানুষ লড়াই করেছে, আজ বসন্তের হাওয়ায় তারি ঢেউ। '
তারি ঢেউ ?
বাউল । ই । খবর এসেছে মানুষের লড়াই শেষ হয় নি।
বসন্তের এই কি খবর।
বাউল । যারা ম’রে অমর, বসন্তের কচি পাতায় তারাই পত্র পাঠিয়েছে। দিগদিগন্তে তারা রটাচ্ছে— “আমরা পথের বিচার করি নি— আমরা পাথেয়ের হিসাব রাখি নি— আমরা ছুটে এসেছি, আমরা ফুটে বেরিয়েছি। আমরা যদি ভাবতে বসতুম তা হলে বসন্তের দশা কী হত।”
চন্দ্রহাস তাই বুঝি থেপে উঠেছে ?
বাউল । সে বললে—
গান
বসন্তে ফুল গাথল আমার
জয়ের মালা । বইল প্রাণে দখিন হাওয়া
আগুন-জালা । পিছের বাশি কোণের ঘরে মিছে রে ঐ কেঁদে মরে, মরণ এবার অানল আমার
বরণ-ডালা । যৌবনেরি ঝড় উঠেছে
আকাশ পাতালে ।
নাচের তালের ঝংকারে তা’র
অামায় মাতালে । কুড়িয়ে নেবার ঘুচল পেশা, উড়িয়ে দেবার লাগল নেশা, আরাম বলে, “এল আমার
যাবার পালা।”
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫৭
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
