পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী । రిఫె ধরায় যখন দাও না ধরা হৃদয় তখন তোমায় ভরা, এখন তোমার অাপন আলোয় তোমায় চাহি রে । তোমায় নিয়ে খেলেছিলেম খেলার ঘরেতে | খেলার পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে । থাক তবে সেই কেবল খেলা, হোক না এখন প্রাণের মেলা— তারের বীণা ভাঙল, হৃদয় বীণায় গণহি রে ॥ ওই বাউলট চুপ করে বসে থাকে, কথা কয় না, ভালো লাগছে না। ও কেমন যেন একটা অলক্ষণ । যেন কালবৈশাখীর প্রথম মেঘ । দাও ভাই দাও, ওকে বিদায় করে দাও । না, ন, ও বসে আছে তৰু একট। ভরসা আছে । দেখছ না ওর মুখে কিছু ভয় নেই। মনে হচ্ছে ওর কপালে যেন কী সব খবর আসছে। ওর সমস্ত গা যেন অনেক দূরের কাকে দেখতে পাচ্ছে। ওর আঙলের আগায় চোখ ছড়িয়ে আছে । ওকে দেখলেই বুঝতে পারি কে আসছে অন্ধকারের ভিতর দিয়ে পথ করে । ওই দেখো জোড়হাত করে উঠে দাড়িয়েছে। পুবের দিকে মুখ করে কাকে প্রণাম করছে। ওখানে তো কিছুই নেই— একটু আলোর রেখাও না । একবার জিজ্ঞাসাই করে না, ও কী দেখছে— কাকে দেখছে। না, না, এখন ওকে কিছু বোলো না । অামার কী মনে হচ্ছে জান ? যেন ওর মধ্যে সকাল হয়েছে। যেন ওর ভুরুর মাঝখানে অরুণের আলো খেয়া-নৌকোটির মতো এসে ঠেকেছে। ওর মনটা ভোরবেলাকার আকাশের মতো চুপ।