পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালঞ্চ Σ & 3 “ন, কিন্তু অব্যক্ত প্রতিজ্ঞার শিলমোহর করে নিতে ইচ্ছা করছে তোমার মুখটিতে।” “যা সহজ তাকে নিয়ে জোর কোরো না। থাকৃ এখন ।” “আচ্ছা, তবে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, এখন কী করবে, থাকবে কোথায় ।” “সে ভার নিয়েছেন রমেনদা ।” “রমেন তোমাকে আশ্রয় দেবে! সে-লক্ষ্মীছাড়ার চালচুলো আছে কি।” “ভয় নেই তোমার। পাক আশ্রয়। নিজের সম্পত্তি নয়, কিন্তু বাধা ঘটবে না।” “আমি জানতে পারব তো ?” “নিশ্চয় জানতে পারবে কথা দিয়ে যাচ্ছি ; কিন্তু ইতিমধ্যে আমাকে দেখবার জন্যে একটুও ব্যস্ত হতে পারবে না এই সত্য করে ।” “তোমারও মন ব্যস্ত হবে না ?” “যদি হয় অন্তর্যামী ছাড়া আর কেউ তা জানতে পারবে না ।” “আচ্ছ, কিন্তু যাবার সময় ভিক্ষার পাত্র একেবারে শূন্য রেখেই বিদায় দেবে ?” পুরুষের চোখ ছল ছল করে উঠল। সরল কাছে এসে নীরবে মুখ তুলে ধরলে । ৯ৈ “রোশনি !" “কী খোখী ।” “কাল থেকে সরলাকে দেখছি নে কেন ।” இ. “সে কী কথা, জান না, সরকার বাহাদুর যে তাকে পুলিপোলাও চালান দিয়েছে ?” “কেন, কী করেছিল।” “দারোয়ানের সঙ্গে ষড় করে বড়োলাটের মেমসাহেবের ঘরে ঢুকেছিল।” “কী করতে ।” “মহারানীর শিলমোহর থাকে যে-বাক্সয় সেইটে চুরি করতে, আচ্ছা বুকের পাট৷ ” “লাভ কী ।” “ওই শোনো ! সেটা পেলেই তো সব হল । লাটসাহেবের ফঁাসি দিতে পারত। সেই মোহরের ছাপেই তো রাজ্যিখান চলছে।” “আর ঠাকুরপো ?” “সিধিকাঠি বেরিয়েছে র্তার পাগড়ির ভিতর থেকে, দিয়েছে তাকে হরিনবাড়িতে, পাথর ভাঙাবে পচাশ বছর । আচ্ছা খোখী, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, বাড়ি থেকে