পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী অপরিচিতের এই চিরপরিচয় এতই সহজে নিত্য ভরিয়াছে গভীর হৃদয় সে-কথা বলিতে পারি এমন সরল বাণী আমি নাহি জানি । শূন্ত প্রাস্তরের গান বাজে ওই এক ছায়াবটে ; নদীর এপারে ঢালুতটে 機 চাষি করিতেছে চাষ ; উড়ে চলিয়াছে হাস ওপারের জনশূন্ত তৃণশূন্ত বালুতীরতলে । চলে কি না চলে ক্লাস্তস্রোত শীর্ণ নদী, নিমেষ-নিহত আধো-জাগা নয়নের মতো । পথখানি বাক৷ বহুশত বরষের পদচিহ্ন-অঁাক। চলেছে মাঠের ধারে, ফসল-খেতের যেন মিতা, নদীসাথে কুটিরের বহে কুটুম্বিতা । ফাঙ্কনের এ-আলোয় এই গ্রাম, ওই শূন্ত মাঠ, ওই খেয়াঘাট, ওই নীল নদীরেখা, ওই দূর বালুকার কোলে নিভৃত জলের ধারে চখাচখি কাকলি-কল্লোলে যেখানে বসায় মেলা— এই সব ছবি কতদিন দেখিয়াছে কবি । শুধু এই চেয়ে দেখা, এই পথ বেয়ে চলে যাওয়া, এই আলো, এই হাওয়া, এইমতে অস্ফুটধ্বনির গুঞ্জরণ, ভেসে-যাওয়া মেঘ হতে