পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rtr রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী কালপুরুষের সিংহদ্বারের ওপার থেকে শুনি কে কয় আমায় ডেকে “ওরে পুতুলওলা তোর যে ঘরে যুগান্তরের দুয়ার আছে খোলা, সেথায় আগাম-বায়না-নেওয়া খেলনা যত আছে। লুকিয়ে ছিল গ্ৰহণ-লগা ক্ষণিক কালের পাছে ; আজ চেয়ে দেখ, দেখতে পাবি, মোদের দাবি ছাপ-দেওয়া তার ভালে । পুরানো সে নতুন আলোয় জাগল নতুন কালে । সময় আছে কিংবা গেছে দেখার দৃষ্টি সেই সবার চক্ষে নেইএই কথাটা মনে রেখে ওরে পুতুলওলা, আপন সদৃষ্টি-মাঝখানেতে থাকিস আপন-ভোলা । ওই যে বলিস, বিছানা তোর ভূয়ে চেটাই পাতা, ছেড়া মলিন র্ক্যাথাওই যে বলিস, জোটে কেবল সিদ্ধ কচুর পথ্যিএটা নেহাত স্বপ্ন কি নয়, এ কি নিছক সত্যি । পাস নি খবর, বাহান্ন জন কাহার পালকি আনে- শবদ কি পাস তাহার । বাঘনাপাড়া পেরিয়ে এল ধেয়ে, সখীর সঙ্গে আসছে রাজার মেয়ে । খেলা যে তার বন্ধ আছে তোমার খেলনা বিনে, এবার নেবে কিনে । কী জানি বা ভাগ্যি তোমার ভালো, বাসরঘরে নতুন প্ৰদীপ জ্বালো ; নবযুগের রাজকন্যা আধেক রাজ্যসুদ্ধ যদি মেলে, তা নিয়ে কেউ বাধায় যদি যুদ্ধ, ব্যাপারখানা উচচতলায় ইতিহাসের ধাপে উঠে পড়বে মহাকাব্যের মাপে । বয়স নিয়ে পণ্ডিত কেউ তর্ক যদি করে বলবে তাকে, একটা যুগের পরে চিরকালের বয়স আসে সকল-পাজি-ছাড়া, যমকে লাগায় তাড়া ।” এতক্ষণ যা বকা গেল এটা প্ৰলাপমাত্ৰ-- নবীন বিচারপতি ওগো, আমি ক্ষমার পাত্ৰ ; পেরিয়ে মেয়াদ বঁাচে তবু যে-সব সময়হারা স্বপ্নে ছাড়া সাস্তুনা আর কোথায় পাবে তারা ••ार्वती । कास्ट्रिन्विष्रङब्ष SiS IVs