পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী সেই দেখা মম। পরিস্ফুটতম । বসন্তের শেষমাসে শেষ শুক্ল তিথি তুমি এলে তাহার অতিথি, উজাড় করিয়া শেষ দানে ভাবের দাক্ষিণ্য মোর অন্ত নাহি জানে । মিলে যায়। সারঙের বৈরাগ্যরাগের শান্তস্বরে, প্রৌঢ় যৌবনের পূর্ণ পর্যাপ্ত মহিমা লাভ করে গৌরবের সীমা । হয়তো এ-সব ব্যাখ্যা স্বপ্ন-অন্তে চিন্তা ক’রে বলা, দাম্ভিক বুদ্ধিরে শুধু ছলা বুঝি। এর কোনো অর্থ নাইকো কিছুই । জ্যৈষ্ঠ-অবসানদিনে আকস্মিক জুই যেমন চমকি জেগে উঠে সেইমতো অকারণে উঠেছিল ফুটে, সেই চিত্রে পড়েছিল তার লেখা বাক্যের তুলিকা যেথা স্পর্শ করে অব্যক্তের রেখা । পুরুষ যে রূপকার, আপনার সৃষ্টি দিয়ে নিজেরে উদভ্ৰান্ত করিবার অপুর্ব উপকরণ বিশ্বের রহস্যলোকে করে অন্বেষণ । সেই রহস্যই নারী যাহা পায় তার সাথে যাহা নাহি পায়। তাহারে মিলায় । উপমা তুলনা যত ভিড় করে আসে ছন্দের কেন্দ্রের চারি পাশে কুমোরের ঘুরখাওয়া চাকার সংবেগে যেমন বিচিত্র রূপ উঠে। জেগে জেগে । বসন্তে নাগকেশরের সুগন্ধে মাতাল বিশ্বের জাদুর মঞ্চে রচে সে আপন ইন্দ্ৰজাল । বনতালে মমরিয়া বঁকাপে সোনাকুরি ; চাদের আলোর পথে খেলা করে ছায়ার চাতুরী ; काउंटीब 65डन्पावताकि রাঙা নিমন্ত্রণলিপি দেয় লিখি কিংশুকে অশোকে ; হাওয়ায় বুলায় দেহে অনামীর অদৃশ্য উত্তরী, শিরায় সেতার উঠে গুঞ্জরি গুঞ্জরি ।