পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশপ্ৰদীপ এই যারে মায়ারথে পুরুষের চিত্ত ডেকে আনে। সে কি নিজে সত্যা করে জানে সত্য মিথ্যা আপনার, কোথা হতে আসে মন্ত্র এই সাধনার । রক্তস্রোত-আন্দোলনে জোগে ধ্বনি উচ্ছসিয়া উঠে অর্থহীন বেগে ; প্রচ্ছন্ন নিকুঞ্জ হতে অকস্মাৎ ঝঙ্কায় আহত ছিন্ন মঞ্জরীর মতো নাম এল ঘূর্ণিবায়ে ঘুরি ঘুরি, চাপার গন্ধের সাথে অস্তরেতে ছড়াল মাধুরী । [ ? শান্তিনিকেতন ] চৈত্রপূর্ণিমা { ২১ চৈত্র ] । ১৩৪৫ SSR পাকুড়তলির মাঠে বামুনমারা দিঘির ঘাটে আদিবিশ্ব-ঠাকুরমায়ের আসমানি এক চেলা ঠিক দুক্ষর বেলা বেগনি-সোনা দিক-আঙিনার কোণে ব’সে বসে ভূঁইজোড়া এক চাটাই বোনে হলদে রঙের শুকনো ঘাসে । সেখান থেকে ঝাপসা স্মৃতির কানে আসে ঘুম-লাগা রোদদুরে ঝিমঝিমিনি সুরে সুন্দরীকে বিয়ে দিলেম ডাকাতদলের মেলে ।” সুদূর কালের দারুণ ছড়াটিকে স্পষ্ট করে দেখি নে আজ, ছবিটা তার ফিকে । মনের মধ্যে বেঁধে না তার ছুরি, সময় তাহার ব্যথার মূল্য সব করেছে। চুরি । বিয়ের পথে ডাকাত এসে হরণ করলে মেয়ে, এই বারতা ধুলোয়-পড়া শুকনোপাতার চেয়ে উত্তাপহীন, বেঁটিয়ে-ফেলা আবর্জনার মতো । দুঃসহ দিন দুঃখেতে বিক্ষত এই-কটা তার শব্দমাত্র দৈবে রইল বাকি, আগুন-নেভা ছাইয়ের মতন ফাকি । সেই মরা দিন কোন খবরের টানে পড়ল এসে সজীব বর্তমানে । ܬܬ