পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধূমকেতু মাঝে মাঝে হাসির বঁাটায় বিস্মিত সূর্যের সভা তুরিতে পারায়ে সৌর বিদূষক পায় ছুটি । আমার জীবনকক্ষে জানি না। কী হেতু, মাঝে মাঝে এসে পড়ে খ্যাপা ধূমকেতু তুচ্ছ প্ৰলাপের পুচ্ছ শূন্যে দেয় মেলি, ক্ষণতরে কৌতুকের ছেলেখেলা খেলি নেড়ে দেয় গভীরের কুঁটি। এ জগৎ মাঝে মাঝে কোন অবকাশে কখনো বা মৃদুস্মিত কীভূ উচ্চহাসে হেসে ওঠে, দেখা যায় আলোকে ঝলকেতারা কেহ ধ্রুব নয়, পলিকে পলকে চিহ্ন তার নিয়ে যায় মুছে। তিমির-আসনে যবে ধ্যানমগ্ন রাতি উল্কা বরিষনকর্তা করে মাতামাতি দুই হাতে মুঠা মুঠা কৌতুকের কণা ছড়ায় হরির লুঠ, নাহি যায় গনা, প্রহর-কয়েকে যায় ঘুচে। অনেক অদ্ভুত আছে। এ বিশ্বসৃষ্টিতে, বিধাতার স্নেহ তাহে সহাস্য দৃষ্টিতে। তেমনি হালকা হাসি দেবতার দানে রয়েছে খচিত হয়ে আমার সম্মানে মূল্য তার মনে মনে জানি। এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাবলামি। এ নিয়ে প্ৰবীণ যদি করে রাগারগি বিধাতার সাথে তারে করি ভাগাভাগি হাসিতে হাসিতে লব মানি। শ্যামলী। শান্তিনিকেতন পৌষ ১৩৪৫ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর