পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সানাই কেন মনে হয়, যেন দূর ইতিহাসে কোনো বিদেশের কবি এ বাতায়নের ছবি । ঘরের ভিতরে যে-প্ৰাণের ধারা চলে সে যেন অতীত কাহিনীর কথা বলে । ছায়া দিয়ে ঢাকা সুখদুঃখের মাঝে গুঞ্জনসুরে সুরাশঙ্গার বাজে । যারা আসে যায়। তাদের ছায়ায় প্রবাসের ব্যথা কঁপে, আমার চক্ষু তন্দ্ৰা-অলস মধ্যদিনের তাপে । ঘাসের উপরে একা বসে থাকি, দেখি চেয়ে দূর থেকে, শীতের বেলার রৌদ্র তোমার জানালায় পড়ে বেঁকে । এ চিকন তব লাবণ্য যবে দেখি মনে মনে ভাবি, একি আড়ালে আবার ফিরে নেয়। তারে দিন হলে অবসান । একদা শিশিররাতে শতদল তার দল করাইবে হেমন্তে হিমপাতে, সেই যাত্রায় তোমারো মাধুরী প্ৰলয়ে লভিবে গতি । এতই সহজে মহাশিল্পীর আপনার এত ক্ষতি কেমন করিয়া সয়, প্রকাশে বিনাশে বাধিয়া সূত্র ক্ষয়ে নাহি মানে ক্ষয় । যে দান তাহার সবার অধিক দান মাটির পাত্রে সে পায় আপন স্থান S (ሱ “እ