পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী মাল্যতত্ত্ব BDDBBBS DSDB D DYS লেগেছি পুফ-করেকশনে গলায় কুন্দমালা । ডেস্কে আছে দুই পা তোলা, বিজন ঘরে একা, এমন সময় নাতনি দিলেন দেখা । সোনার কাঠির শিহরলাগা বিশবছরের বেগে আছেন কন্যা দেহে মনে পরিপূর্ণ জেগে । হঠাৎ পাশে আসি কটাক্ষেতে ছিটিয়ে দিল হাসি, বললে বাকা পরিহাসের ছলে “কোন সোহাগির বরণমালা পরেছ আজ গলে ।” একটু থেমে দ্বিধার ভানে নামিয়ে দিয়ে চোখ বলে দিলেম, “যেই বা সে-জিন হোক दळद • उ० •কী জানি, ভাই, কী হয় পরিণাম । মানবধর্ম, ঈৰ্ষা বড়ো বালাই, একটুতে বুক জ্বালায় ।” বললে শুনে বিংশতিকা, “এই ছিল মোর ভালে বুক ফেটে আজ মরব কি শেষকালে, কে কোথাকার তার উদ্দেশে করব রাগারগি মালা দেওয়ার ভাগ নিয়ে কি, এমনি হতভাগি ।” আমি বললেম, “কেনই বা দাও লাজ, করে।াই-না আন্দাজ ।” বলে উঠল, “জানি, জানি, ওই আমাদের ছবি, আমারই বান্ধবী । তোমার নামে চোখ পড়ে তার ঢুলে । তোমারও তো দেখেছি। ওর পানে মুগ্ধ আঁখি পক্ষপাতের কটাক্ষ সন্ধানে ৷” আমি বললেম, “নাম যদি তার শুনবে নিতান্তই আমাদের ওই জগা মালী, মৃদুস্বরে কই ।” নাতনি বলে, “হায় কী দুরবস্থা, বয়স হয়ে গেছে ব’লেই কণ্ঠ এতই সস্তা । যে গলাটায় আমরা গলগ্ৰহ জগামালীর মালা সেথায় কোন লজ্জায় বহাে ।” আমি বললেম, “সত্য কথাই বলি, তরুণীদের করুণা সব দিলেম জলাঞ্জলি । নেশার দিনের পারে এসে আজকে লাগে ভালো, ওই যে কঠিন কালো । So