পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

と2br8 রবীন্দ্র-রচনাবলী তা হলে শোনাবে অহংকার সে কত, ‘অপরাজিতা”ও নহে কি তাহারি মতো । ঝগড়া বাধিয়ে এইখানে লিখি ইতি, সন্দেহ কবি, ভালো নহে এই রীতি—— শান্তিভঙ্গ করে দেবে এই ভাষা, পুরো শান্তির চেয়ে তারি পরে আশা । ‘অনাদৃতা লেখনী’ কবিতার পঞ্চম হইতে দশম ছত্র পর্যন্ত অংশ ১৪ মাঘ ১৩৪৩ তারিখে স্বতন্ত্র আকারে প্রথম রচিত হয় । কবিতাটিব ‘বিচিত্ৰা’য় প্রকাশিত (বৈশাখ ১৩৪৪) প্ৰাক্তন পাঠে উত্তৰ ছয়টি ছত্ৰ পাওয়া যায় না ! পলাতকা” কবিতাটি নন্দিতা দেবীর উদ্দেশে রচিত । পাণ্ডুলিপিতে পত্রের আকারে উহার আরম্ভে সম্বোধন ‘‘বুদ্ধা, এবং পত্র শেষের স্বাক্ষৰ ‘দাদামশায’ { কবিতাটির ‘পুনশ্চ’ অংশ ‘দাদামশায়ের চিঠি” নামে ১৯৩৬ নভেম্ববের ‘শ্ৰীহৰ্ষ পত্রেও প্রকাশিত হইয়াছিল । ‘কাপুরুষ’ কবিতাটি, পাণ্ডুলিপি অনুসারে, শান্তিনিকেতন হইতে রানী মহলানবীশকে “কবিসম্রাট’ স্বাক্ষবে লেখা হইয়াছিল ।

  • গৌড়ী রীতি’ কবিতাটি ১৩৩৯ সালে “পরিচয়' পত্রিকায় প্রকাশিত হইবার পূর্বে নিম্নোদ ধূত সংক্ষিপ্ত আকারে ১৩৩৬ চৈত্রের ‘বিচিত্ৰা’য় (পৃ. ৪৫৪) বিনা স্বাক্ষরে বাহির হয়—

নাহি চাহিতেই ঘোড়া দেয যেই ফুকে দেয়। তার থলে, লোকে তার 'পরে মহা রাগ কবে হাতি দেয় নাই ব’লে | বহু সাধনায় বিড়াল যে পায় ফুকারে সে “ওহাে ওহো”, বলে আঁখি মেজে, “যথেষ্ট এ যে, পরম অনুগ্রহ ।” বিপুল ভোজনে মণের ওজনে ছটাক যদি বা কমে, সেই ছটাকের চাটিতে ঢাকের গালাগালি- বোল জমে । সমুখে আসিয়া পকেট ঠাসিয়া স্তবের লম্বা দৌড়, পিছনে গোপন নিন্দা-রোপণ— ধন ধন্য গৌড । কবিতাটির আরম্ভের দুই স্তবক বস্তুত আরো কয়েক বৎসর পূর্বের রচনা । ১৯১৬ সালে যুরোপ-প্রবাস-কালে বেলগ্রেড হইতে রবীন্দ্রনাথ দিলীপকুমার রায়কে যে-পত্ৰ লেখেন, ১৩৩৮ সালের রবীন্দ্রজয়ন্তী-সংখ্যা ‘বাতায়ন হইতে তাহা এই প্রসঙ্গে মুদ্রিত হইল বেলগ্রেড ৭ নভেম্বর ১৯২৫ * কল্যাণীয়বরেষু মন্টু, তোমার চিঠিখানা পড়ে, খুব খুশি হলুম। সাধারণ তো আমাকে অহংকৃত এবং হৃদ্যতাবিহীন বলেই মনে করে | সেই জন্যেই জনসমাজে আমি যত প্ৰশংসা পেয়েছি তত প্রীতি পাই নি । আর সেই জন্যেই লোকে আমার ন্যায্য প্ৰাপ্য থেকেও যতটা পারে দাম কমাতে চেষ্টা করে । এর ঠিক কারণটা কী আমি তো ভালো বুঝতেই পারি নে। আমি যদি স্বভাবতই কঠিন হৃদয় ও স্নেহসম্পদে কৃপণ হতুম তা হলে কবি হতেই পারতুম না । অন্তরে যার রসের অভাব সে কখনোই রাসসাহিত্য সৃষ্টি করতে পারে না । কিন্তু, যখন অনেক লোকের একই ধারণা হচ্ছে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তখন বলতেই হবে যে, আমার মধ্যে একটা কিছু অভাব আছে যাতে করে আমার দেশের লোক আমার হৃদয় স্পষ্ট দেখতে পায় না । সম্ভবত আমাদের দেশে ১ তারিখ সম্ভবত— ১৭ নভেম্বর ১৯২৬