পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশপ্ৰদীপ বধু ঠাকুরমা দ্রুততালে ছড়া যেত পড়েভাবখানা মনে আছে- “বাউ আসে চতুৰ্দোলা চড়ে আম-কঁঠালের ছায়ে, গলায় মোতির মালা, সোনার চরণ চক্ৰ পায়ে r বালকের প্রাণে প্ৰথম সে নারীমন্ত্র আগমনীগানে ছন্দের লাগাল দোল আধো জাগা কল্পনার শিহরদোলায় আঁমাধার-আলোর দ্বন্দ্বে যে প্ৰদোষে মনেরে ভোলায়, সত্য-অসত্যের মাঝে লোপ করি সীমা দেখা দেয় ছায়ার প্রতিমা । ছড়া-বাধা চতুৰ্দোলা চলেছিল যে-গলি বাহিয়া চিহিত করেছে মোর হিয়া গভীর নাভীর পথে অদৃশ্য রেখায় ঐকেবেঁকে । তারি। প্ৰান্ত থেকে অশ্রুত সানাই বাজে অনিশ্চিত প্ৰত্যাশার সুরে দুৰ্গম চিন্তার দূরে দূরে । সেদিন সে কল্পনলোকে বেহারিাগুলোর পদক্ষেপে বক্ষ উঠেছিল। কেঁপে কেঁপে, পলে পলে ছন্দে ছন্দে আসে তারা আসে না। তবুও, পথ শেষ হবে না। কীভূও । সেকাল মিলাল । তার পরে, বন্ধু-আগমনগাথা গেয়েছে মমরিচ্ছন্দে অশোকের কচি রাঙা পাতা ; বেজেছে বর্ষণঘন শ্রাবণের বিনিদ্র নিশীথে ; মধ্যাহেক করুণ রাগিণীতে বিদেশী পান্থের শ্রান্ত সুরে । অতিদূর মায়াময়ী বধুর নুপুরে তন্দ্ৰ।ার প্রত্যন্তদেশে জাগায়েছে ধবনি মৃদু রণরণি । ঘুম ভেঙে উঠেছিনু জেগে, পূর্বকাশে রক্ত মেঘে। দিয়েছিল দেখা অনাগত চরণের অলক্তের রেখা । কানে কানে ডেকেছিল মোরে অপরিচিতার কণ্ঠ স্নিগ্ধ নাম ধীরেসচকিতে দেখে তবু পাই নি দেখিতে । অকস্মাৎ একদিন কাহার পরশ রহস্যের তীব্ৰতায় দেহে মনে জাগাল হরষ ; Seసా