পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাপমোচন ఏది এখন আমার বেলা নাহি আর, বহিব একাকী বিরহের ভার— বাধিব যে রাখী পরানে তোমার সে রাখী খুলো না, খুলে না । যথালগ্নে রাজহস্তীর পৃষ্ঠে রত্নাসনে রাজার প্রতিনিধি হয়ে এল অরুণেশ্বরের বক্ষোবিহারিণী বীণা, রাজার অশ্রুত আহবান সঙ্গে করে। সখীরা দুরোদিষ্ট বন্ধুর আবাহন গান গাইলে – তোমার আনন্দ ওই এল দ্বারে এল গো ওগো পুরবাসী। বুকের আঁচলখানি ধুলায় ফেলে আঙিনাতে মেলো গো । পথে সেচন করো গন্ধবারি, মলিন না হয় চরণ তারি, তোমার সুন্দর ওই এল দ্বারে এল গো— আকুল হৃদয়খনি সম্মুখে তার ছড়িয়ে ফেলো গে। সকল ধন্য ষে ধন্য হল হল গো, বিশ্বজনের কল্যাণে আজ ঘরের দুয়ার খোলে গে। হেরো রাঙা হল সকল গগন, চিত্ত হল পুলকমগন, তোমার নিত্য-আলো এল দ্বারে এল গো— তোমার পরানপ্রদীপ তুলে ধরে ওই আলোতে জেলে গো । অন্তঃপুরিকারী বীণাখানিকে বরণ করে নিয়ে এল বিবাহের আসরে, বধূকে আহবান করে গাইলে— বাজে রে বঁাশরী বাজো । সুন্দরী, চন্দনমাল্যে মঙ্গলসন্ধ্যায় সাজো । বুঝি মধুফাল্গুনমাসে চঞ্চল পান্থ সে আসে, মধুকরপদভরকম্পিত চম্পক অঙ্গনে ফোটে নি কি আজো ।