পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রান্তিক وا v মুক্তি এই– সহজে ফিরিয়া আসা সহজের মাঝে, নহে কৃচ্ছসাধনায় ক্লিষ্ট কৃশ বঞ্চিত প্রাণের আত্ম-অস্বীকারে। রিক্ততায় নিঃস্বতীয়, পূর্ণতার প্রেতচ্ছবি ধ্যান করা অসম্মান জগংলক্ষ্মীর । আজ আমি দেখিতেছি, সম্মুখে মুক্তির পূর্ণরূপ ওই বনস্পতিমাঝে, উর্ধ্বে তুলি ব্যগ্র শাখা তার শরৎপ্রভাতে আজি স্পশিছে সে মহা-অলক্ষ্যেরে কম্পমান পল্লবে পল্লবে ; লভিল মজ্জার মাঝে সে মহা-আনন্দ যাহা পরিব্যাপ্ত লোকে লোকান্তরে, বিচ্ছুরিত সমীরিত আকাশে আকাশে, ফুটোমুখ পুষ্পে পুষ্পে, পাখিদের কণ্ঠে কণ্ঠে স্বত-উৎসারিত। সন্ন্যাসীর গৈরিক বসন লুকায়েছে তৃণতলে সৰ্ব-আবর্জনা-গ্রাসী বিরাট ধুলায়, জপমন্ত্র মিলে গেছে পতঙ্গগুঞ্জনে। অনিঃশেষ যে তপস্যা প্রাণরসে উচ্ছসিত, সব দিতে সব নিতে 喙 যে বাড়ালো কমণ্ডলু দু্যলোকে ভূলোকে, তারি বর পেয়েছি অন্তরে মোর, তাই সর্ব দেহ মন প্রাণ সূক্ষ্ম হয়ে প্রসারিল আজি ওই নিঃশব্দ প্রাস্তরে ছায়ারৌদ্রে হেথাহোথা যেথায় রোমস্থরত ধেনু আলস্তে শিথিল-অঙ্গ, তৃপ্তিরসসম্ভোগ তাদের সঞ্চারিছে ধীরে মোর পুলকিত সত্তার গভীরে । দলে দলে প্রজাপতি রৌদ্র হতে নিতেছে কাপায়ে নীরব আকাশবাণী শেফালির কানে কানে বলা, তাহারি বীজন আজি শিরায় শিরায় রক্তে মোর মৃদু স্পর্শে শিহরিত তুলিছে হিল্লোল। হে সংসার, আমাকে বারেক ফিরে চাও ; পশ্চিমে যাবার মুখে २२|| २