কালের যাত্রা
শুনলে গম্ভীর গণেশ * বৃংহিতধ্বনি করবেন অট্টহাস্তে । ত্যাগের দীক্ষা নিয়েছি তার কাছে ।
যদি পরামর্শ দেন সবই ফুকে দিতে তবে কী করবে ত্যাগ ।
উপুড় করবে শূন্ত ঘড়াটাকে ?
তুমি কাকে বলে ত্যাগ কবি !
ত্যাগের রূপ দেখে ওই ঝর্নায়, নিয়ত গ্রহণ করে তাই নিয়তই করে দান । নিজেকে যে শুকিয়েছে যদি সেই হল ত্যাগী, তবে সব-আগে শিব ত্যাগ করুন অন্নপূর্ণাকে।
কিন্তু সন্ন্যাসী শিব ভিক্ষুক, সেটা তো মানে । মহত্ত্ব দিলেন তিনি জগতের দরিদ্রকে ।
দারিদ্র্যে র্তারই মহত্ত্ব মহৎ যিনি ঐশ্বর্ষে । মহাদেব ভিক্ষা নেন পাবেন ব’লে নয়— আমাদের দানকে করতে চান সার্থক ।
ভরব কেমন করে তার অসীম ভিক্ষার ঝুলি।
তিনি না চাইলে খুজেই পেতেম না দেবার ধন।
বুঝলেম না কথাটা ।
কিছু তিনি চান নি কুকুর-বেড়ালের কাছে। ‘অল্প চাই’ বলে ডাক দিলেন মানুষের দ্বারে। বেরল মাহ্য লাঙল কাধে— যে মাটি ফাকা ছিল, প্রকাশ পেল তাতে অল্প।
S @ S
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭১
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
