কালের যাত্র।
তবে কি যুরোপথগুকে বলবে শিবের চেল।
বলতে হয় বৈকি। নইলে এত উন্নতি কেন । মেনেছে ওরা মহাভিক্ষুর দাবি । তাই বের করে আনছে নব নব সম্পদ–
ধনে প্রাণে জ্ঞানে মানে ।
অশাস্তিও তো কম দেখছি নে ওদের মধ্যে ।
যখন শিবের ভোগ ভেঙে নিজের দিকে চুরি করে উৎপাত বাধে তখন অশিবের । ত্যাগের ধনে মানুষ ধনী, চুরির ধনে নয়। আমরা কুঁড়ে, ভিক্ষুক দেবতাকে দিই নে কিছু। তাই মরছি সব দিকেই—
খেতে ফসল যায় মরে,
পুকুরে জল যায় শুকিয়ে, দেহে ধরে রোগ, মনে ধরে অবসাদ, বিদেশী রাজা দেয় দুই কান মলে । শিবের ঝুলি ভরব যেদিন, সেদিন আমাদের সব ভরবে।
কিন্তু গোড়ায় বলছিলে যে রসের কথাটা শিবের ঝুলিতে তো তার খবর মেলে না।
মেলে বৈকি। গাছের ত্যাগ ফল দিয়ে ।
ফল ফলে না রস না হলে ।
প্রাণের ধনই হল অানন্দ, যাকে বলি রস । যেখানে রসের দৈন্য, ভরে না সেখানে প্রাণের কমণ্ডলু।
শ্মশানে কেন দেখি তোমার ওই দেবতাকে ।
১৫৩
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৩
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
