পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী مه والا ৩ সৈনিক। পাশে যে থাকে তার মান থাকতে পারে, কিন্তু পিছনে যে থাকে ঠেলাটা ষে তারই । ধনপতির অনুচরদের প্রবেশ ১ সৈনিক । এরা সব কে । ২ সৈনিক। আংটির হীরে থেকে আলোর উচ্চিংড়েগুলো চোখের উপর লাফ দিয়ে পড়ছে। ৩ সৈনিক । গলায় সোনার হার নয়তো, সোনার শিকল বললেই হয়। কে এরা। " ১ নাগরিক। এরাই তো আমাদের ধনপতি শেঠীর দল। ওই সোনার শিকল দিয়ে এরা মহাকালকে বেঁধে ফেলেছে বলেই তার রথ চলছে না। ১ সৈনিক । তোমরা কি করতে এসেছ । ১ ধনিক। রাজা আমাদের প্রভু ধনপতিকে ডেকে পাঠিয়েছেন। কারো হাতে রথ চলছে না, তার হাতে চলবে বলেই সবাই আশা করে আছে। ২ সৈনিক। সবাই বলতে কে রে বাপু ? অার আশাই বা করে কেন। ২ ধনিক । আজকাল যা-কিছু চলছে সবই যে ধনপতির হাতে চলছে। ১ সৈনিক । এখনই দেখিয়ে দিতে পারি তলোয়ার তার হাতে চলে না, আমাদের হাতে চলে । ৩ ধনিক। তোমাদের হাত চালাচ্ছে কে সেটা বুঝি এখনো খবর পাও নি। ১ সৈনিক। চুপ বেয়াদব ! ২ ধনিক। আমরা চুপ করব ? আজ আমাদেরই আওয়াজ জলে স্থলে আকাশে তা জান ? ১ সৈনিক। তোমাদের আওয়াজ ? আমাদের শতন্ত্রী যখন বজ্রনাদ করে ওঠে— ২ ধনিক। তোমাদের শতন্ত্ৰী বজ্রনাদে আমাদেরই কথা এক ঘাট থেকে আর-এক ঘাটে, এক হাট থেকে আর-এক হাটে ঘোষণা করবার জন্যে আছে। ১ নাগরিক। দাদা, ওদের সঙ্গে ঝগড়া করে পেরে উঠবে না। ১ সৈনিক। কী বল ? পারব না ! ১ নাগরিক । না, তোমাদের কোনো তলোয়ার ওদের নিমক খেয়েছে, কোনোট বা ওদের ঘুষ খেয়েছে, খাপ থেকে বের করতে গেলেই তা বুঝতে পারবে। ১ ধনিক। শুনেছিলেম রথের দড়িতে হাত দেবার জন্যে নর্মদাতীরের বাবাজিকে আজ আনা হয়েছিল। কী হল খবর জান ?