পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী আকাশের আঙিনায় শাস্ত ষেথা পাখির কাকলি স্বরসভা হতে সেথ নৃত্যপরা অপসরকন্যার বাম্পে-বোন চেলাঞ্চল উড়ে পড়ে, দেয় ছড়াইয়া স্বর্ণোজ্জল বর্ণরশ্মিচ্ছটা । চরম ঐশ্বর্য নিয়ে অস্তলগনের, শূন্ত পূর্ণ করি এল চিত্রভাহ, দিল মোরে করম্পর্শ, প্রসারিল দীপ্ত শিল্পকলা অস্তরের দেহলিতে, গভীর অদৃশুলোক হতে ইশারা ফুটিয়া পড়ে তুলির রেখায়। আজন্মের বিচ্ছিন্ন ভাবনা যত, স্রোতের সেঁউলি-সম যারা নিরর্থক ফিরেছিল অনিশ্চিত হাওয়ায় হাওয়ায়, রূপ নিয়ে দেখা দেবে ভাটার নদীর প্রাস্ততীরে অনাদৃত মঞ্জরীর অজানিত আগাছার মতো— কেহ শুধাবে না নাম, অধিকারগর্ব নিয়ে তার ঈর্ষ রহিবে না কারে, অনামিক স্মৃতিচিহ্ন তারা খ্যাতিশূন্ত অগোচরে রবে যেন অস্পষ্ট বিস্মৃতি । শাস্তিনিকেতন ר כ\ן 5 מן-ל צ S२ শেষের অবগাহন সাঙ্গ করে কবি, প্রদোষের নির্মলতিমিরতলে। ভূতি তব সেবার প্রমের সংসার যা দিয়েছিল অঁাকড়িয়া রাখিয়ো না বুকে ; এক প্রহরের মূল্য আরেক প্রহরে ফিরে নিতে কুষ্ঠা কভু নাহি তার ; বাহির-দ্বারের যে দক্ষিণ অস্তরে নিয়ে না টেনে ; এ মুদ্রার স্বর্ণলেপটুকু দিনে দিনে হাতে হাতে ক্ষয় হয়ে লুপ্ত হয়ে যাবে, উঠিবে কলম্বরেখা ফুটি। ফল যদি ফলায়েছ বনে, মাটিতে ফেলিয়। তার হোক অবসান। সাঙ্গ হল ফুল ফোটাবার ঋতু, সেই সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যাক