সেঁজুতি צש
ওই শুনি আমি চলেছে আকাশে বাধন-ছেড়ার রবে
নিখিল আত্মহারা ; ওই দেখি আমি অস্তবিহীন সত্তার উৎসবে
ছুটেছে প্রাণের ধারা ।
সে ধারার বেগ লেগেছে আমার মনে এ ধরণী হতে বিদায় নেবার ক্ষণে ; নিবায়ে ফেলিব ঘরের কোণের বাতি, যাব অলক্ষ্যে সুর্যতারার সাথি ।
কী আছে জানি না দিন-অবসানে মৃত্যুর অবশেষে ;
এ প্রাণের কোনো ছায়া শেষ আলো দিয়ে ফেলিবে কি রঙ অস্তরবির দেশে,
রচিবে কি কোনো মায়া ।
জীবনেরে যাহা জেনেছি অনেক তাই ; সীমা থাকে থাকৃ, তবু তার সীমা নাই।
নিবিড় তাহার সত্য আমার প্রাণে নিখিল ভূবন ব্যাপিয়া নিজেরে জানে। মংপু। দাৰ্জিলিং ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৫
যাবার মুখে যাক এ জীবন, যাক নিয়ে যাহা টুটে যায়, যাহা
ছুটে যায়, যাহা ধূলি হয়ে লোটে ধূলি-পরে, চোরা
মৃত্যুই যার অস্তরে, যাহ। রেখে যায় শুধু ফাক। যাক এ জীবন পুঞ্জিত তার জঞ্জাল নিয়ে যাক।
টুকরো যা থাকে ভাঙা পেয়ালার,
ফুটো সেতারের স্বরহারা তার,
শিখা-নিবে-যাওয়া বাতি,
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
